১. আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধিলোকসভা নির্বাচনের আগে এটাই মোদি সরকারের শেষ বাজেট। এই বাজেটে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা আড়াই লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করা হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্র থেকে আয়কর আইনের ৮০ সি ধারায় বিনিয়োগের বিনিময়ে আয়কর ছাড়ের পরিমাণ বাড়ানোরও দাবি জানানো হয়েছে। আয়কর ছাড়ের পরিমাণ বাড়লে মানুষের হাতে আরও টাকা থাকবে। এর ফলে ভোগ্যপণ্যের বিক্রি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
২. জিএসটি-র হার সংশোধনকেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি-র হারে ইতিমধ্যেই কিছু বদল এনেছে। তবে আরও বদল চাইছেন ভোগ্যপণ্য শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা। তাঁদের মতে, জিএসটি-র হার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হলে এলসিডি টিভি, রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন সহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের বিক্রি বাড়বে। শহরাঞ্চলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের বিক্রি বাড়লেও, গ্রামে এখনও সেভাবে চাহিদা তৈরি হয়নি। জিএসটি-র হার ২৮ শতাংশ থেকে কমানো হলে গ্রামেও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের বিক্রি বাড়তে পারে।
৩. গ্রামীণ অর্থনীতিএর আগের সবকটি বাজেটে মোদি সরকার গ্রামের উপর জোর দিয়েছিল। বিদ্যুৎ সংযোগ, সড়ক, স্বচ্ছ ভারত অভিযান বা স্বাস্থ্য প্রকল্পের ফলে গ্রামীণ ভারতের উন্নতি হয়েছে। ভারতে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী হওয়ার ফলে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বাড়তে পারে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই এবারের বাজেটেও গ্রামীণ অর্থনীতির উপর জোর দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
৪. ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প এবং অনলাইন মার্কেটকেন্দ্রীয় সরকার ডিজিটাল অর্থনীতির উপর জোর দিচ্ছে। ভারতে ভোগ্যপণ্য ও স্মার্টফোনের বিক্রির উপর অনলাইন মার্কেটের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ই-কমার্সের ক্ষেত্রে সাবধানে পা ফেলতে হবে সরকারকে। ২৫০ কোটি টাকার কম টার্নওভারের ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলির কর্পোরেট কর ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করেছে মোদি সরকার। এবারের বাজেটে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য আরও ইতিবাচক ঘোষণা থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৫. কর্মসংস্থানজিডিপি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কর্মসংস্থান। এর ফলে অর্থনীতিও চাঙ্গা হয়। মোদি সরকার যদি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে পারে এবং আয় বৃদ্ধি করতে পারে, তাহলে ভোগ্যপণ্যের বাজারের উপর সরাসরি প্রভাব পড়বে।