নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে ৫ একর জমি তাদের দেওয়া হলে মুসলিম সম্প্রদায়ের সেখানে মসজিদের বদলে স্কুল, হাসপাতাল তৈরি করা উচিত। এমনই অভিমত জানালেন সেলিম খান, জাভেদ আখতার। বলিউডের এই খ্যাতনামা চিত্রনাট্য লিখিয়ে জুড়ি অযোধ্যা মামলা নিয়ে শীর্ষ আদালতের শনিবারের রায়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ধর্মস্থান নয়, জনস্বার্থমূলক কিছু করার আবেদন জানিয়েছেন। জাভেদ বলেছেন, সব সম্প্রদায়ের মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলে ওখানে চ্যারিটেবল হাসপাতাল হোক।


সুপ্রিম কোর্টের সর্বসম্মত রায়ে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির তৈরির অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রকে অযোধ্যার কোথাও বিকল্প জায়গায় ৫ একর জমির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে, যেখানে একটি মসজিদ তৈরি হতে পারে। ৮৩ বছরের সেলিম, যিনি জাভেদের সঙ্গে যৌথ ভাবে ‘শোলে’, ‘দিওয়ার’-এর মতো চিরকালের হিট বলিউড ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন, বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অযোধ্যা ইস্যুর অবশেষে চিরতরে মীমাংসা হয়ে ভালই হয়েছে। সিনেমার মতোই তার পরিসমাপ্তি ঘটেছে। এখন আপনি এর সমালোচনা করুন, একে ভাল বা খারাপ, যা-ই বলুন, ব্যাপারটা শেষ হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে সমস্যাটা চলছিল, দীর্ঘদিন কেটে যাওয়ায় আগের থেকে বেশি জটিল হয়ে উঠেছিল। সুপ্রিম কোর্ট সময় নিয়ে রায় দিয়েছে। আর এ নিয়ে হাওয়া গরম করা যাবে না।
সেলিম আরও বলেছেন, নমাজ পড়তে হলে যে কোনও জায়গায়, ট্রেন, বিমান চলতে চলতেও পড়া যায়। শুধু একটা পরিষ্কার জায়গা চাই। সেজন্য মসজিদের দরকার নেই। বর্তমান সময়ে প্রয়োজন স্কুল, কলেজ, হাসপাতালের। ৫ একর জমির ওপর স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল তৈরি করা উচিত আমাদের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ভবিষ্যতের বড় বড় নেতারা তৈরি হবেন। বস্তুত পবিত্র কোরানের প্রথম অধ্যায়েই শিক্ষার গুরুত্বের কথা বলা হয়েছে। জাভেদ ট্যুইট করেন, যারা ওই ৫ একর জমি পাবে, তারা সব গোষ্ঠী, সম্প্রদায়ের মানুষের সমর্থন, সহায়তা নিয়ে সেখানে একটা বড় হাসপাতাল করতে পারলে সত্যিই দারুণ হবে।
সেলিম অন্য এক প্রসঙ্গে আক্ষেপ করেন, এখন চলচ্চিত্র দুনিয়ায় ভাল লেখক নেই কেননা ‘কেউ আর বই পড়েন না’, তবে ‘এটা বদলাতে হবে’।