নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ তীব্র গতিতে আছড়ে পড়েছে দেশে। দেশের বিভিন্ন স্থানেই হাসপাতালে বেড ও অক্সিজেন, ওষুধের অভাবের অভিযোগ আসছে। এরইমধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর। করোনা প্রভাবিত রাজ্যগুলিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাসের ইঙ্গিত মিলেছে। মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা ও উত্তরাখণ্ডে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় নিম্নগতি দেখা গিয়েছে।
করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির গতিতে হ্রাস...!
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ৩০ এপ্রিল দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৪ লক্ষ পার করেছিল। এরপর দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা ১ মে কমে হয় ৩,৯২,৪৮৮। ২ মে সেই সংখ্যা আরও কমে হয় ৩,৬৮,১৪৭। সোমবার দেশে দৈনিক আক্রান্তর সংখ্যা ৩,৫৫,৯৯৮। দেশে করোনা অ্যাক্টিভ রোগীর অ্যাভারেজ গ্রোথ রেট হয়েছে ২.৯ শতাংশ। দেশে করোনা অ্যাক্টিভ আক্রান্তর সংখ্যা ৩৪ লক্ষের বেশি।
মহারাষ্ট্রে ১২ জেলায় সংক্রমণের গতির হার কমেছে
সারা দেশে মহারাষ্ট্রেই করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। এই রাজ্যের ১২ জেলায় গত ১৫ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির গতি নিম্নমুখী হয়েছে। এছাড়াও ছত্তিসগড়ের দূর্গ, গরিয়াবন্দ, রাজনন্দগাও, রায়পুর, মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া, গুনা, শাজাপুর, লাদাখের লে, তেলঙ্গানার নির্মলে করোনা সংক্রমণের গতিও কমেছে।
কয়েকটি রাজ্য এখনও সংক্রমণের গতিতে পড়েনি লাগাম
যদিও বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক ও কেরলের মতো রাজ্যে সংক্রমণের গতিতে বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ দেখা যায় দেশজুড়ে। দৈনিক করোনা আক্রান্তর সংখ্যা লাফিলে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। এই পরিস্থিতির ফলে তীব্র চাপ পড়ে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয়।
সারা দেশজুড়ে হাসপাতালে বেড ও অক্সিজেনের অভাব দেখা যায়। অক্সিজেনের অভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে অনেক আক্রান্তের মৃত্যুর খবরও সামনে এসেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী আসছে। সংক্রমণ আটকাতে বিভিন্ন রাজ্য লকডাউন ও অন্য ধরনের বিধি নিষেধ জারির পথে হেঁটেছে।