কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ক্রমশ এগিয়ে আসছে স্থলভূমির দিকে। দিঘা থেকে আর ৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়। নবান্ন থেকে পরিস্থিতির দিকে নিরন্তর নজরদারি চালানো হচ্ছে। সারারাত নবান্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও তিনি নবান্নেই আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত তিনি নবান্নেই থাকবেন।


ব্লক থেকে জেলাস্তর পর্যন্ত সর্বত্র কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেই কন্ট্রোল রুম নবান্নের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ২০টি জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সব জেলার হালহকিকত প্রতি মুহূর্তে জেনে নিচ্ছেন তিনি। কী করতে হবে টেলিফোনে তার নির্দেশ দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে যাতে ন্যূনতম প্রাণহানিও না ঘটে তা নিশ্চিত করা। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ১১ লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও মানুষকে নিয়ে আসা হবে।


তিন লক্ষ কর্মী ইয়াসের মোকাবিলায় নেমেছেন। অফিসারেরা রয়েছেন, কর্মীরা আছেন, পুলিশকর্মীরা আছেন, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানেরা আছেন। সেনাবাহিনীকেও তৈরি রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে নামানো হবে। বিপর্যস্ত মানুষের পাশে যে প্রশাসন রয়েছে, সেই বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধারকাজ ও ত্রাণসামগ্রী সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।


আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'এখন ইয়াসের গতিবেগ সমুদ্রের ওপর প্রতি ঘণ্টায় ১৩০-১৪০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ (গাস্টিং) ১৫৫ কিলোমিটার। ১৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে স্থলভূমির দিকে এগচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। ধামড়া ও বালেশ্বরের মধ্যে ল্য়ান্ডফল হবে।'


আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জানিয়েছেন, দিঘাতে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার গতিবেগে হাওয়া বইছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সতর্কতায় কলকাতা শহরে ৮টি উড়ালপুল বন্ধ থাকবে। কতক্ষণ এই উড়ালপুলগুলি বন্ধ থাকবে সেই বিষয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। গার্ডেনরিচ উড়ালপুল, পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুল, তারাতলা উড়ালপুল, উল্টোডাঙ্গা উড়ালপুল, চিংড়িঘাটা উড়ালপুল, গড়িয়াহাট উড়ালপুল, এজেসি বোস রোড উড়ালপুল ও মা উড়ালপুল বন্ধ থাকবে।