নয়াদিল্লি: এক সেনা জওয়ান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এবার আধাসেনাকেও সতর্ক করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের সব আধাসামরিক বাহিনীকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে সেনা জওয়ানদের ভূমিকা ও দায়িত্ব সংক্রান্ত এক নির্দেশিকাও জারি করেছে সরকার।


লাদাখ স্কাউটসের এক ৩৪ বছরের সেনা জওয়ান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই প্রথম সশস্ত্রবাহিনীর এক জওয়ান আক্রান্ত হলেন। এরপরেই লাদাখ স্কাউটসের প্রায় ৮০০ জওয়ানকে আলাদা জায়গায় রাখা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ আধাসেনা জওয়ান আছেন। তাঁরা কেউ যাতে আক্রান্ত না হন, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার।

এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘বাহিনীকে স্বাস্থ্যবান রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, বেশিরভাগ জওয়ানই ব্যারাকে থাকেন এবং একসঙ্গে যাতায়াত করেন। তাঁদের কোথাও না যাওয়া এবং নির্দিষ্ট স্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্তত এক মাস ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক উড়ান ধরা যাবে না। প্রয়োজন ছাড়া ট্রেন, বাসেও ভ্রমণ করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এর ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানো যাবে।’

সরকারি নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ‘সাধারণ মানুষের সঙ্গে অন্তত এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কারও সঙ্গে করমর্দন করা যাবে না। সংক্রমণ এড়ানোর জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে হবে এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে। ওয়াশিং পাউডার, ব্লিচিং পাউডার, বালতি ও মগ, পা দিয়ে চালিত ডাস্টবিন কিনতে হবে।’

এডিজি (মেডিক্যাল) মুকেশ সাক্সেনা জানিয়েছেন, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ ভারতীয়দের প্রস্তুতির জন্য ৩০ দিন সময় দিয়েছে। ভাইরাস যাতে বড় অংশের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। সংক্রমণের সবচেয়ে ঝুঁকি চিকিৎসাকর্মীদের। তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা ব্যবস্থাই ভেঙে পড়বে। সেই কারণেই তাঁদের সুরক্ষার জন্য পরিকল্পনা দরকার।’

অন্যদিকে, সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় এক সেনা অফিসার ও এক মহিলাকে পুণের মিলিটারি ইনস্টিটিউটে আলাদা জায়গায় রাখা হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, প্রয়োজন হলে তাঁদের করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা করা হবে।