জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আলিগড় জেলার পালিমুকিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ২৮ বছরের বাবলু বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরেই বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেই সময় তাঁর কয়েকজন বন্ধু আগে থেকেই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। বাবলুর কাছে তাঁরা দাবি করতে থাকেন, তাঁর বিয়ে হয়েছে, সেই আনন্দে তাঁদের আরও মদ খাওয়াতে হবে। পুলিশ জানিয়েছে, বাবলু তাঁর বন্ধুদের বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা অনেকটা মদ্যপান করেছেন। আর মদ খাওয়া উচিত নয়। তা ছাড়া তাঁর কাছে মদ কেনার মতো টাকাও নেই। এর পরেই বন্ধুদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় বাবলুর। তা গড়ায় হাতাহাতিতে। ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয় বাবলুকে। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানেই মৃত্যু হয় বাবলুর।
ওই ঘটনা সম্পর্কে সার্কেল ইনস্পেক্টর নরেশ সিংহ বুধবার জানিয়েছেন, মূল অভিযুক্ত রামখিলাড়িকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
উত্তরপ্রদেশে বিয়েবাড়িতে বচসা, মারপিট, গুলি চালানোর ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিছুদিন আগেই একটি বিয়েবাড়িতে পিটিয়ে মারা হয় এক ডিজে-কে। ওই যুবকের কাছে অনেকে স্বপ্না চৌধুরীর একটি গান বাজানোর দাবি জানান। কিন্তু তিনি সেই গান বাজাতে রাজি হননি। সেই কারণেই তাঁকে মেরে ফেলা হয়। এরপর ফের একটি হত্যাকাণ্ড দেখা গেল।