গত ২৮ সেপ্টেম্বর সবরকান্ঠায় ১৪ মাসের মেয়ের ধর্ষণের পর থেকে ৬টি জেলায় হিন্দিভাষীদের বিরুদ্ধে সোস্যাল মিডিয়ায় আপত্তিকর প্রচারের পাশাপাশি তাদের ওপর বিক্ষিপ্ত হামলাও হয়েছে। পুলিশ শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত হিসাবে রবীন্দ্র সাহু নামে বিহার থেকে আসা স্থানীয় সেরামিক কারখানার এক শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে।
রাহুল লিখেছেন, দুর্বল আর্থিক নীতি, বিমুদ্রাকরণ ও ভ্রান্ত রাস্তায় কার্যকর করা জিএসটির ফলে গুজরাতে একাধিক কলকারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, বেকারি বেড়েছে। গুজরাত জুড়ে ভিন রাজ্যের লোকজনের ওপর হামলায় এটাই দেখা গেল। সরকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ‘অক্ষমতা’র ফলে ক্রোধ, অসন্তোষ বাড়ছে। যুবকরা হতাশ, সরকারের ওপর বিরক্ত। তারই প্রতিফলন ঘটেছে বাইরের রাজ্য থেকে আসা লোকজনের ওপর হামলায়।
ভিন রাজ্য থেকে আসা কর্মিবাহিনী আমাদের আর্থিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে অভিমত জানিয়েছেন রাহুল, লিখেছেন, ওদের ওপর হামলা হওয়ায় একটা ভীতি, সন্ত্রাস, নিরাপত্তাহীনতা, অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি হয়েছে যা শিল্পবাণিজ্য, অর্থনীতির উপযোগী নয়। সরকারকে নির্নায়ক ব্যবস্থা নিতে হবে, শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায়, প্রতিটি ভারতীয়ের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে যা যা তার পক্ষে সম্ভব, সব করতে হবে।
এদিকে পাল্টা রাহুলকে ট্যুইটে কটাক্ষ করে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি বলেছেন, কংগ্রেস সভাপতি কি নিজের দলের লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন যারা গুজরাতে ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের ওপর হামলায় উসকানি দিয়েছে? প্রসঙ্গত, কংগ্রেস বিধায়ক অল্পেশ ঠাকোর ও তাঁর গুজরাত ক্ষত্রিয়-ঠাকোর সেনাকে হিন্দিভাষীদের ওপর হামলার জন্য দায়ী করছে বিজেপি। রুপানি বলেছেন, কংগ্রেস প্রথমে ভিনরাজ্যের লোকজনের ওপর হিংসায় প্ররোচনা দিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি হিংসার নিন্দা করে ট্যুইট করেছেন। ওনার বিন্দুমাত্র লজ্জা হয় না? উনি গুজরাতে হিংসার বিরোধী হলে ভিনরাজ্যের লোকজনের ওপর হামলায় উসকানি দেওয়া নিজের দলের বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ট্যুইট করা নয়, ব্যবস্থা নেওয়াই সমাধান। উনি কি তা করবেন? তাঁর সরকার সব নাগরিককে তারা গুজরাতে নিরাপদ, সুরক্ষিত, এই আশ্বাস দিতে, তাদের আস্থা ফিরে পেতে জোর চেষ্টা করছে বলেও জানান রুপানি।