মুম্বই: মাওবাদী সংশ্রবের অভিযোগে ৫ বামপন্থী বিদ্বজ্জনের গ্রেফতারির স্বপক্ষে গত শুক্রবার মহারাষ্ট্রের এডিজি (আইন ও শৃঙ্খলা) পরমবীর সিংহ পুনে পুলিশকর্তাদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে কয়েকটি চিঠি পড়ে শুনিয়ে দাবি করেছিলেন, সেগুলি ওই বাম বিদ্বজ্জনেদের মধ্যে চালাচালি হয়েছিল, গত জুনে গ্রেফতার বামপন্থীদের সঙ্গে গত সপ্তাহে গ্রেফতার ৫ বাম সমাজকর্মীর সম্পর্কের ‘স্পষ্ট প্রমাণ’ তাঁরা পেয়েছেন। কিন্তু সোমবার বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি এসএস শিন্ডে ও বিচারপতি মৃদুলা ভাটকরের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছে, ওই চিঠি মামলার প্রামাণিক নথি হিসাবে ব্যবহার করা যেত, কী করে পুলিশ তা সর্বসমক্ষে তা প্রকাশ করল।
বিচারপতি ভাটকর বলেন, কী করে পুলিশ এটা করল? মামলাটি আদালতের বিচারাধীন। সুপ্রিম কোর্ট দেখছে। এ ধরনের মামলায় মামলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রকাশ করা ভুল। এ ব্যাপারে পুলিশের মত জানতে তাদের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান সরকারি আইনজীবী দীপক ঠাকরে।
বেঞ্চে গত শুক্রবার পেশ হওয়া এক পিটিশনের শুনানি হচ্ছিল। পিটিশনটি দেন জনৈক সতীশ গায়কোয়াড়। নিজেকে কোরেগাঁও ভিমার হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত বলে দাবি করে এনআইএ তদন্ত চান তিনি। গায়কোয়াড়ের আবেদন, পুনে পুলিশকে এই মামলার পরবর্তী তদন্ত থেকে বিরত রাখা হোক, বন্ধ থাকুক তদন্ত। ৭ সেপ্টেম্বর পিটিশনের পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে। পুণে পুলিশ অসত্ উদ্দেশ্যে মামলায় অন্যায় তদন্ত করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পিটিশনে বলেন, পুণে পুলিশ সমাজের বুদ্ধিজীবী কিছু মানুষকে গ্রেফতার করেছে, যা দুর্ভাগ্যজনক। এঁরা সামাজিক অধিকারকর্মী, মানবাধিকার কর্মী, আইনজীবী, কবি, লেখক, সম্মানীয় মানুষ। যেহেতু মামলায় ইউএপিএ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে, তাই এনআইএ তদন্তই হওয়া উচিত।