নয়াদিল্লি: পাঁচটি রাজ্যে সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election) বিজেপি-র (BJP) যে প্রার্থীরা হেরে গিয়েছেন, তাঁদের হারের দায় নিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিজেপি-র সংসদীয় দলের বৈঠকে তিনি বলেন, ‘কারও প্রার্থীপদ যদি খারিজ হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে এর দায়িত্ব আমার।’


এই বৈঠকে পরিবারন্ত্রের (Dynasty politics) বিরুদ্ধেও সরব হন মোদি। তিনি দলকে কড়া বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি নাম না করে কংগ্রেস (Congress) ও সমাজবাদী পার্টিকে (Samajwadi Party) আক্রমণ করে বলেন, ‘পরিবারতন্ত্র গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। আমাদের এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আমাদের দলে পরিবারতন্ত্র বরদাস্ত করা হবে না। আমার জন্যই বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় সাংসদদের ছেলে-মেয়েরা প্রার্থী হতে পারেননি। আমাদের দলে যেমন পরিবারতন্ত্র কায়েম হতে দেওয়া যাবে না, তেমনই যে দলগুলি পরিবারতন্ত্রের ভিত্তিতে চলে, সেই দলগুলির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন।’


এই বৈঠকে মোদি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ (Rajnath Singh), সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করী (Nitin Gadkari), বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল (Piyush Goyal), সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী (Pralhad Joshi) সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদরা। এই বৈঠকের শুরুতেই লতা মঙ্গেশকরের (Lata Mangeshkar) প্রয়াণ, ইউক্রেনে (Ukraine) মৃত ভারতীয় পড়ুয়া এবং কর্ণাটকে (Karnataka) খুন হওয়া বজরঙ্গ দলের (Bajrang Dal) কর্মী হর্ষর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দু’মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়।


উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) ও উত্তরাখণ্ডে (Uttarakhand) ক্ষমতা ধরে রেখেছে বিজেপি। গোয়া (Goa), মণিপুরেও (Manipur) একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের ফল খারাপ হয়েছে শুধু পঞ্জাবে। উত্তরপ্রদেশের জন্য বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে অমিত শাহকে। রাজনাথ সিংহকে উত্তরাখণ্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মণিপুরের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক করা হয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে। তাঁর সঙ্গে যৌথ পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কিরেন রিজিজুকে। গোয়ার কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক করা হয়েছে কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরকে।


এর আগে শেষবার বিজেপি-র সংসদীয় দলের বৈঠক হয়েছিল গত বছরের ২১ ডিসেম্বর। সেই বৈঠকেও হাজির ছিলেন মোদি।