নয়াদিল্লি: ১২৭টি দেশে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত রেমডিসিভির বিক্রি করার জন্য গাইলেড সায়েন্সেস-এর সঙ্গে নন-এক্সক্লুসিভ চুক্তিতে সই করল ভারতের জুবিল্যান্ট লাইফ সায়েন্সেস। এই মাসের শুরুতে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জরুরি ভিত্তিতে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য রেমডিসিভিরের ব্যবহারকে স্বীকৃতি দেয়।
জুবিল্যান্ট কোভিড আক্রান্ত সব দেশের চাহিদা মেটাতে রেমডিসিভির উৎপাদনও করবে ।

এর আগে গাইলিড সায়েন্সেস ইনক জানায়, তারা বিভিন্ন জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে কথাবার্তা চালাচ্ছে রেমডিসিভির তৈরির ব্যাপারে। ভারত, পাকিস্তান, দুই দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারীদের সঙ্গেই কথা চলছিল। গাইলেড জানয়, বিশ্বজুড়ে রেমডিসিভির চাহিদা মেটাতে তারা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে ওষুধ তৈরির টেকনোলজি ভাগ করেও নেবে।

জুবিলিয়্যান্টের তরফে জানানো হয়েছে, অন্য দেশে রেমডেসিভির সরবরাহের জন্য যে শুধুই ভারতীয় সংস্থাটির সঙ্গে গাইলেডের চুক্তি হয়েছে, তা নয়। এই লাইসেন্স ‘নন-এক্সক্লুসিভ’। তবে আমেরিকা থেকে আনিয়ে রেমডিসিভির বিশ্বের অন্যত্র সরবরাহের পাশাপাশি করোনা রোগীদের দ্রুত সারিয়ে তুলতে অল্প ও মধ্যে আয়ের দেশগুলিতে ওষুধটি বানাতে বা তার উৎপাদন বাড়াতেও পারবে তারা।

কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় রেমডিসিভির কতটা কার্যকরী, সে বিষয়ে সব বিশেষজ্ঞরা সহমত হননি। কিন্তু শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার উপশমে রেমডিসিভিরে ভরসা রাখছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে এমএসএফ বা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস গাইলেডের সমালোচনা করে বলেন, তাঁদের চুক্তির শর্তে স্বচ্ছতার অভাব আছে। সংস্থার তরফে লীনা মেনঘানি বলেন, এই ধরনের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক বিষয়টি সরিয়ে রেখে, চুক্তি সর্বসমক্ষে আমা উচিত। লাইসেন্স হতে হবে সারা বিশ্বের জন্য। যার মধ্যে থাকবে উচ্চ, মধ্য ও নিম্ন অর্থনৈতিক অবস্থার দেশগুলি।
গাইলেডের তরফে জুবিল্যান্টের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে এখনও তেমন কিছু জানানো হয়নি।