কলকাতা: তিন তালাককে শাস্তিযোগ্য অপরাধের তকমা দিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্ডিন্যান্স জারির সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করে স্বাগত জানালেন ইশরাত জাহান। তিন তালাক মামলার অন্যতম আবেদনকারী ইশরাত বলেছেন, এটা দেশের মুসলিম মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এক বড় পদক্ষেপ। মুসলিম পুরুষ ও ধর্মগুরুরা এবার নিশ্চয়ই নিজেদের শুধরে নেবেন, নয়তো সাজা ভোগ করার জন্য তৈরি থাকবেন। আমি কেন্দ্রের পদক্ষেপ স্বাগত জানাচ্ছি।
গত বছর ২২ আগস্ট যে ৫ মহিলা আবেদনকারীর পিটিশনের শীর্ষ আদালত তিন তালাক প্রথাকে বাতিল করে রায় দেয়, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইশরাত। তাঁর স্বামী দুবাই থেকে ফোনে তিনবার তালাক উচ্চারণ করে ২০১৪-য় ডিভোর্স দেন তাঁকে। তারপরই আদালতের দ্বারস্থ হন ১৩ বছরের এক মেয়ে, সাত বছরের ছেলের মা ইশরাত।
বিজেপি সরকারের সিদ্ধান্তকে মহিলা ক্ষমতায়নে বড় পদক্ষেপ বলে দাবি করে কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়েছে। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, কংগ্রেস নেতা কপিল সিবাল সুপ্রিম কোর্টে তিন তালাকের সমর্থনে কথা বলেছেন। এই এতগুলি বছর ধরে কংগ্রেস ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে তিন তালাক নিয়ে রাজনীতি করেছে। কংগ্রেসের নিজের প্রতি লজ্জিত বোধ করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অর্ডিন্যান্স আনার জন্য ধন্যবাদ দেন তিনি।
পাল্টা কংগ্রেসের তোপ, মোদী সরকার তিন তালাক ইস্যুটিকে মুসলিম মহিলাদের ন্যয়বিচার দেওয়ার চেয়ে অনেক বেশি রাজনৈতিক ফুটবল হিসাবে দেখছে। দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, কংগ্রেস বলেছিল, মুসলিম মহিলাকে সন্তানসমেত ডিভোর্স দেওয়ার পর যারা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ব্যবস্থা রাখা হোক, কিন্তু তা মানেনি সরকার। তিন তালাক এক বেআইনি, অসাংবিধানিক, অমানবিক প্রথা যা বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট, তারপরই তা আইন হয়েছে। আমাদের কাছে সবসময় মহিলাদের অধিকার ও তাদের ন্যয়বিচার দেওয়া সংক্রান্ত একটা মানবিক ইস্যু। সেজন্যই কংগ্রেস নেতারা বরাবর সুপ্রিম কোর্টে ক্ষতিগ্রস্ত মহিলাদের হয়ে সওয়াল করেছেন।