নয়াদিল্লি:‘ডেক্সামেথাসন’ নামে লো-ডোজের একটি স্টেরয়েড সঙ্কটজনক করোনা রোগীদের উপর ভাল কাজ করছে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এহেন রিপোর্টে আশার আলো দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এই ওষুধ খুব কম দামে সারা পৃথিবীতেই পাওয়া যায়। অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ হিসেবে এর কদর আছে।
তবে হু-র শীর্ষ বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানালেন, র‌্যান্ডম পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সত্যিই ভাল কাজ করছে ডেক্সামেথাসন, কিন্তু আরও পরীক্ষা বাকি। এখনই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা যাবে না। যেসব রোগীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা গুরুতর, শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি লক্ষিত হচ্ছে অর্থাৎ ভেন্টেলেশন দরকার, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ ভাল কাজ করছে বটে, কিন্তু স্বামীনাথন বারবার সতর্ক করছেন, এটি আশঙ্কাজনক রোগীদের ক্ষেত্রেই ভাল কার্যকর। হু এই ওষুধ প্রয়োগের ফলাফল সম্পর্কে নজর রাখছে। ওষুধ ব্যবহার করে রোগীরা কীভাবে সাড়া দিচ্ছেন, তার উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা পদ্ধতির রূপরেখা তৈরি হবে।
তিনি আরও জানান, আরও অন্তত ১০টি পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সফল হলেই এই ওষুধের কার্ষকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তারপর সব পরীক্ষার ফল একত্রিত করা হবে।
স্বামীনাথন আরও জানান, ডেক্সামেথাসন কিন্তু কম সঙ্কটজনক রোগীদের জন্য নয়। যাঁদের ফুসফুস তেমন ক্ষতিগ্রস্ত নয়, তাঁদের ডেক্সামেথাসন নয়। তাতে পরিস্থিতি আরও খারাপই হতে পারে। কোনওভাবেই ডেক্সামেথাসন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়। হাসপাতালে থাকা রোগীদেরই, চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে থাকাকালীনই এই ওষুধ খাওয়া যাবে।
স্বামীনাথনের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন ভারতের অনেক চিকিৎসকও।
তাহলে কি রেমডিসিভিরও এরকমই কাজ করেছিল? এর প্রয়োগে হয়ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজনীয়তা কিছুটা কাটানো যায়। কিন্তু মৃত্যুর আশঙ্কা কমাতে রেমডিসিভির প্রযোজ্য নয়।