আজকের ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’ কর্মসূচিতে কংগ্রেসের প্রতিটি সদস্য এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়বেন, ছাত্রদের পাশে দাঁড়াবেন বলেও জানান প্রিয়ঙ্কা। তাঁর সঙ্গে প্রতিবাদ সভায় সামিল হন প্রথম সারির বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা। প্রিয়ঙ্কার হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, তরুণ পড়ুয়াদের ওপর আক্রমণ বন্ধ করুন। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার দাবি, এই সরকার দেশের যুবসমাজ, পড়ুয়াদের অধিকারের ওপর আক্রমণ নামিয়েছে। সেজন্যই প্রিয়ঙ্কা গাঁধী, অন্য সিনিয়র কংগ্রেস নেতারা ইন্ডিয়া গেটে প্রতীকী প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে তিনি গতকাল রাতে জামিয়ায় হিংসার জন্য বিজেপি সরকারকে দায়ী করে বলেন, ওরা সংবিধান ও পড়ুয়াদের আক্রমণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়ুয়াদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা সংবিধানের জন্য লড়ব, এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়ব।
রবিবার জামিয়া নগর এলাকায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভের সময় বহু ছাত্র, পুলিশকর্মী আহত হন। বিক্ষোভকারীরা ভারত নগরের কাছে কয়েকটি ডিটিসি বাসে আগুন লাগায়। আগুন নেভানোর জন্য পাঠানো একটি দমকলও ভাঙচুর করা হয়। দিল্লি পুলিশের জনসংযোগ অফিসার বলেছিলেন, বিক্ষোভকারীদের একাংশ মারমুখী হয়ে উঠে পুলিশ ও এলাকার বাড়িগুলির ওপর পাথর ছুড়তে থাকে। পুলিশ লাঠি চালাতে, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে বাধ্য হয়।
বিরোধী নেতারা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের কী প্রভাব-ফল হতে পারে, তা না ভেবেই তা পাশ করিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সরকারকে আক্রমণ করেন। কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারই ‘আসল অপরাধী’। তারা সংসদে এমন একটা ‘জনবিরোধী’ বিলে ছাড়পত্র দিল তার কী পরিণতি হতে পারে, সেটা না ভেবেই।