মুম্বই: কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে রিহানা, গ্রেটা থুনবার্গের মত আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটিরা যেভাবে মুখ খুলেছেন, সমস্বরে তার বিরোধিতা করেছেন লতা মঙ্গেশকর, বিরাট কোহলি, সচিন তেন্ডুলকর সহ একাধিক দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ব। কিন্তু তাঁদের এই এক সঙ্গে টুইট প্রতিবাদের কারণ খতিয়ে দেখা হবে। জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।


অনিল দেশমুখ জানিয়েছেন, সচিন, লতা, সুনীল শেট্টি, বিরাট কোহলি, অক্ষয় কুমার সহ অন্যান্যরা টুইট করে রিহানা, গ্রেটার টুইটের প্রতিবাদ করেছেন, তা তাঁরা তদন্ত করে দেখে জানার চেষ্টা করবেন, এর পিছনে নরেন্দ্র মোদি সরকারের চাপ ছিল কিনা, নাকি ওই ভারতীয় সেলিব্রিটিরা নিজেদের থেকেই কেন্দ্রের বিতর্কিত কৃষি আইনের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন।






















মহারাষ্ট্র সরকার মনে করে, লতা, বিরাট, সচিন, অক্ষয় প্রমুখের টুইটে অদ্ভুত সাদৃশ্য রয়েছে তাই তাদের ধারণা, পরিকল্পিতভাবে তাঁদের দিয়ে এই সব টুইট করানো হয়েছে। রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা ওই টুইটগুলির তদন্ত করবে, দেখবে, চাপ দিয়ে সে সব করানো হয়েছিল কিনা। এ ব্যাপারে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ বলেছেন-


১. বিরাট কোহলি ও লতা মঙ্গেশকর যে টুইটদুটি করেছেন, সেই দুটিতেই অ্যামিকেবল শব্দটি রয়েছে। ফলে মনে হচ্ছে, এটা স্রেফ নিজস্ব মতামত নয়, সম্ভবত টুইটের বয়ান লিখে দেওয়া হয়।


২. অভিনেতা সুনীল শেট্টি আবার বিজেপি নেতা হীতেশ জৈনকে ট্যাগ করেছেন নিজের টুইটে।


৩. অক্ষয় কুমার ও সাইনা নেহওয়াল নরেন্দ্র মোদি সরকারকে সাপোর্ট করে যে টুইট করেছেন, তাদের বয়ান পুরোপুরি এক।


৪. সব সেলিব্রিটির টুইটের একই হ্যাশট্যাগ, তা হল #ইন্ডিয়াএগেনস্টপ্রোপাগান্ডা।


৫. টুইট করার সময় ও ধরনে মনে হচ্ছে, মোদি সরকারের চাপে তা পোস্ট করা হয়েছে।


মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস মুখপাত্র সচিন সাবন্ত এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, সচিন তেন্ডুলকর বা লতা মঙ্গেশকর কখনও কারও মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেননি কিন্তু আচমকা সরকারের পক্ষে এসে টুইট করলেন। তাই এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কারও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে না কিন্তু টুইটগুলির ধরনে মনে হয়, মোদি সরকার সম্ভবত এই সব ভারত রত্নদের চাপ দিয়েছে।  


মহারাষ্ট্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। দলীয় নেতা রাম কদম বলেছেন, যারা দেশের বদনাম করে, তাদের মুখপাত্র হয়ে উঠেছে কংগ্রেস। সচিন তেন্ডুলকর ও লতা মঙ্গেশকরের টুইট নিয়ে তদন্ত লজ্জাজনক। বিজেপি এ ব্যাপারে ক্ষমা প্রার্থনা দাবি করেছে, বলেছে, এই নির্দেশ প্রত্যাহার করতে হবে।