নয়াদিল্লি: নাম না করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(সিএএ) নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর সমালোচকদের একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি। সহমত হওয়া, ভিন্নমত পোষণ করা গণতন্ত্রের শক্তি, তবে কোনও হিংসাই হওয়া উচিত নয় বলে অভিমত জানিয়েছেন তিনি। যারা কখনও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনও সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি, তারাই সিএএ নিয়ে অপপ্রচার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। নকভি বলেন, গুজব, ভুল প্রচার যাতে শান্তি বানচাল করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত। ঐকমত্য, ভিন্নমত পোষণ করা আমাদের গণতন্ত্রের মজবুত স্তম্ভ। হিংসা মাথাচাড়া দিলে তাতে গণতন্ত্রের মূল নীতিতে আঘাত লাগবে।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গতকাল রাজধানীতে প্রতিবাদ, বিক্ষোভের সময় হিংসা, অশান্তি হয়েছে। পরদিনই মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। নকভির দাবি, যারা প্রতিবাদ করছে, তাদের সামাজিক, সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষিত রয়েছে, তা সত্ত্বেও কিছু লোক মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে ভুল চিন্তাভাবনা ছড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরা হল সেইসব লোকজন যারা ২০১৪-য় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মসনদে বসার পর থেকে যত পদক্ষেপ করেছেন, তার প্রত্যেকটার বিরোধিতা করেছেন। গুজব ছড়ানো লোকজনের একটা অ্যাজেন্ডা আছে এবং পড়ুয়ারা বিপথে পরিচালিত হয়েছে বলেও অভিমত জানান তিনি।
নকভি বলেন, সমাজের একটা বড় অংশে মিথ্যা প্রচার, গুজব ছড়ানোর পিছনে একটা কারণ আছে, এটা অবশ্যই বুঝতে হবে। আমার মনে হয়, যে ছাত্ররা প্রতিবাদ করছে, তাদের মিথ্যা প্রচার, গুজব ছড়ানো লোকজন বিভ্রান্ত করেছে। নয়াদিল্লির হিংসার পিছনে বিজেপির হাত থাকার যে অভিযোগ আমআদমি পার্টি (আপ) সরকার করেছে, তা খারিজ করে নকভি জানান, তিনি এ নিয়ে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়িতে জড়াতে চান না।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেশের নানা জায়গায় হিংসাত্মক ঘটনা ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর হওয়ার খবরের পরিপ্রেক্ষিতে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে পাঠানো অ্যাডভাইসরি বা পরামর্শে বলেছে, হিংসায় রাশ টেনে ধরতে, নাগরিকদের জীবন ও নিরাপত্তা, সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সম্পত্তি নষ্ট হওয়া ঠেকাতে যাবতীয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে তাদের।
আইনশৃঙ্খলা, শান্তি, জনজীবনে স্থিতাবস্থা রক্ষায় প্রয়োজনীয় আগাম ব্যবস্থা নিতেও সব রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত এলাকার প্রশাসনকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। হিংসায় উসকানি, মদত দিতে সোস্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো, ভুয়ো খবর সম্প্রচারের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে বলেছে তারা।
গতকাল দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল আচমকা হিংসাত্মক মোড় নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই অ্যাডভাইসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের। মন্ত্রকের শীর্ষকর্তাদের আশঙ্কা, সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে হিংসায় ইন্ধন জোগানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাই সোস্যাল মিডিয়ায় সম্প্রচারিত মেসেজের দিকে কড়া নজর রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। নয়াদিল্লির গতকালের হিংসায় বাসে আগুন লাগানোর সঙ্গে দিল্লি পুলিশকে জড়ানোর চেষ্টা, দুজন পুলিশি হিংসায় মারা গিয়েছেন বলে জল্পনায় ইন্ধন দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও জামিয়া কর্তৃপক্ষ, দিল্লি পুলিশও এধরনের গুজব খারিজ করেছে।
নাগরিকত্ব আইন: মোদীর সঙ্গে যারা কখনই একমত হয়নি, তারাই গুজব ছড়াচ্ছে, দাবি নকভির, সোস্যাল মিডিয়ায় নজর রাখতে সব রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে অ্যাডভাইসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
16 Dec 2019 07:15 PM (IST)
নকভি বলেন, সমাজের একটা বড় অংশে মিথ্যা প্রচার, গুজব ছড়ানোর পিছনে একটা কারণ আছে, এটা অবশ্যই বুঝতে হবে। আমার মনে হয়, যে ছাত্ররা প্রতিবাদ করছে, তাদের মিথ্যা প্রচার, গুজব ছড়ানো লোকজন বিভ্রান্ত করেছে। নয়াদিল্লির হিংসার পিছনে বিজেপির হাত থাকার যে অভিযোগ আমআদমি পার্টি (আপ) সরকার করেছে, তা খারিজ করে নকভি জানান, তিনি এ নিয়ে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়িতে জড়াতে চান না।
NEXT
PREV
আজ ফোকাস-এ (aaj-focus-e) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -