নয়াদিল্লি: আইনি কাঠামো ছাড়া সারা দেশে একইসঙ্গে সব নির্বাচন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও পি রাওয়াত আজ আইনি কাঠামো বা ফ্রেমওয়ার্কের প্রশ্ন তুলে শীগগিরই একসঙ্গে সব ভোট করার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।
গতকালই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একইসঙ্গে করানোর দাবিতে সওয়াল করেছেন। পরদিনই শীঘ্রই দেশে একযোগে যে কোনও সময় সব নির্বাচন করা সম্ভব হবে কিনা, জানতে চাওয়া হলে রাওয়াত বললেন, কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভার মেয়াদ কমাতে বা বাড়াতে হলে সেজন্য সংবিধান সংশোধন করতে হবে। ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট (পেপার ট্রেল মেশিন) পাওয়ার ক্ষেত্রে লজিস্টিক অর্থাত্ পরিকাঠামোগত আয়োজন করাও সমস্যা তৈরি করবে।
তিনি বলেন, ‘এক দেশ, এক নির্বাচনে’র ব্যাপারে ২০১৫ সালেই কমিশন তার ইনপুট ও সুপারিশ পেশ করেছিল। বাড়তি পুলিশ, ভোটকর্মীরও প্রয়োজন হবে। একইসঙ্গে যখনই রাজ্য বিধানসভাগুলির মেয়াদ ফুরোবে, নতুন করে নির্বাচন করানোর দায়িত্ব কমিশন পালন করবে বলে জানান তিনি।
২০১৯ এর সাধারণ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কমিশন নতুন ইভিএম, ভিভিপ্যাট যন্ত্র জোগাড় করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। রাওয়াত আগে জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনীয় সব ইভিএম-১৩.৯৫ লক্ষ ব্যালট ইউনিট ও ৯.৩ লক্ষ কন্ট্রোল ইউনিট ৩০ সেপ্টেম্বর নাগাদ চলে আসবে। ১৬.১৫ লক্ষ ভিভিপ্যাট যন্ত্রও সরবরাহ করা হবে নভেম্বরের মধ্যেই। এই মেশিনগুলি ভোটের দিন বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে আরও বাড়তি ভিভিপ্যাটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গত ২৮ মে-র উপনির্বাচনের সময় ১০ রাজ্যে ১০৩০০ ভিভিপ্যাটের ১১ শতাংশের বেশি বিকল হয়ে গিয়েছিল।
শুধু সাধারণ নির্বাচনের জন্য যত ইভিএম লাগে, ২০১৯-এ একযোগে লোকসভা ও কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা ভোট করতে হলে তার দ্বিগুণ সংখ্যক প্রায় ২৪ লক্ষ লাগবে।
গত ১৬ মে আইন কমিশনের সঙ্গে সারা দেশে একইসঙ্গে ভোট করানোর ব্যাপারে আলোচনায় কমিশন কর্তারা জানিয়েছিলেন, ১২ লক্ষ বাড়তি ইভিএম ও সমসংখ্যক ভিভিপ্যাট যন্ত্র কিনতে তাঁদের প্রায় ৪৫০০ কোটি টাকা লাগবে।