নয়াদিল্লি: বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির কাজ এখনও চলছে। সারা বিশ্বের প্রথমসারির একাধিক দেশ তো বটেই, এই প্রতিযোগিতায় সামিল ভারতও। কিন্তু কবে আসবে করোনার প্রতিষেধক? এইমসের অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন সাধারণ মানুষকে প্রতিষেধক পেতে গেলে ২০২২ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।


শুধু মাত্র করোনার প্রতিষেধক ভারতের বাজারে এলেই তো হল না, তা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করাও যে চ্যালেঞ্জের, তা মানছেন এইমসের অধিকর্তা। গুলেরিয়ার কথায়, ‘আমাদের দেশে জনসংখ্যা প্রচুর ফলে আমাদের বেশ খানিকটা সময় লাগবে। দেখতে হবে বাজার থেকে ফ্লুয়ের টিকার মতো কী ভাবে এটি কেনা যায়।’

শুধু করোনার টিকা হাতে এলেই হল না, গুলেরিয়া জানিয়েছেন ভারতের মতো দেশে সবচেয়ে বড় বিষয় হল এর সরবরাহ মসৃ ও নিশ্চিত করা। তাঁর কথায়, ‘কোল্ড চেন বজায় রেখে, আমাদের নজর দিতে হবে যাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিরিঞ্জ, সূচ পাওয়া যায়। সেগুলি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ।’

কিন্তু এখানেই শেষ নয়। গুলেরিয়া জানিয়েছেন, বাজারে প্রথম যে প্রতিষেধক পাওয়া যাবে স্বাভাবিক ভাবে সেটিই মানুষ নিতে চাইবে। কিন্তু পরবর্তীকালে যে টিকা এল, দেখা গেল প্রথমটির থেকে দ্বিতীয়টি হয়তো বেশি কার্যকর। তখন কীভাবে প্রথম প্রতিষেধকের বদলে দ্বিতীয়টির সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে? টিকার ক্ষেত্রে একটি কোর্সের বিষয়ও থাকতে পারে, সেটিই বা কীভাবে সামাল দেওয়া হবে সেই বিষয়টিও ভাবার। এমনকি কোন ব্যক্তির প্রথম প্রতিষেধকটি লাগবে, কার ক্ষেত্রে দ্বিতীয়টি দেওয়া হবে, সেগুলিও বিবেচনা করতে হবে। ফলে অনেকগুলি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আছে।

এই শুক্রবারই করোনা টিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বার্তা দিয়েছে ভারত। বিদেশসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছেন, প্রতিষেধকের জন্য বহু দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আগ্রহী দেশগুলির ক্ষেত্রে কোল্ড চেন বজায় রাখা, সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে নয়াদিল্লি যথাসাধ্য সাহায্য করবে বলেও জানিয়েছেন শ্রিংলা।