নয়াদিল্লি: কর্ণাটকে যে দু’জনের শরীরে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রন ধরা পড়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক যিনি করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়ার পর দেশ ছাড়েন। অপর একজন স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি আবার পেশায় চিকিৎসক। তিনি সম্প্রতি বিদেশে যাননি। অথচ তিনিও ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন।


স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ‘ভারতে প্রথম যে দু’জনের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়েছে, তাঁরা কর্ণাটকে আছেন। তাঁদের একজনের বয়স ৬৬ বছর এবং অপরজনের বয়স ৪৬ বছর। দু’জন ওমিক্রন আক্রান্তের শরীরেই সামান্য সংক্রমণ আছে। যাঁরা এই দু’জনের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদের সবাইকে চিহ্নিত করে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’


কর্ণাটকের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ৪৬ বছর বয়সি যে ব্যক্তি ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁর সংস্পর্শে আসা পাঁচজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তবে তাঁদের শরীরে ওমিক্রনের সংক্রমণ হয়েছে কি না, সেটা এখনও জানা যায়নি।


গোপনীয়তা বজায় রাখার স্বার্থে কর্ণাটক সরকার এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্তদের নাম প্রকাশ করেনি। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. কে সুধাকর জানিয়েছেন, ‘৬৬ বছর বয়সি দক্ষিণ আফ্রিকার যে নাগরিক ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি ফিরে গিয়েছেন। ৪৬ বছর বয়সি যিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি চিকিৎসক এবং কোথাও যাননি বলেই জানা গিয়েছে। দুই ওমিক্রন আক্রান্তেরই করোনার টিকার জোড়া ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এরপরেও তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন। ওমিক্রন আক্রান্ত চিকিৎসকের সংস্পর্শে আসা পাঁচজন করোনা আক্রান্ত। ফলে মোট ৬ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি। তাঁদের কারও শরীরেই গুরুতর সংক্রমণ নেই। তাঁরা প্রত্যেকেই করোনার জোড়া টিকা নিয়েছেন।’


ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) ডিরেক্টর জেনারেল ড. বলরাম ভার্গব অবশ্য বলেছেন, ‘ওমিক্রন নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে সচেতন থাকা অবশ্যই দরকার। যাবতীয় করোনা-সতর্কতা মেনে চলতে হবে।’