নয়াদিল্লি: লাগাতার বাড়ছে পেট্রল, ডিজেলের দাম। বিরোধীদের নিশানায় কেন্দ্র। দেশব্যাপী অসন্তোষ। সামনেই কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ভোট। ২০১৯-এ সাধারণ নির্বাচন। এই প্রেক্ষাপটে আজ কেন্দ্র লিটার ও ডিজেলে লিটারে ২.৫০ টাকা দাম কমানোর ঘোষণা করল। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানান, এক্সাইজ ডিউটি অর্থাত অন্তঃশুল্ক কমছে লিটারে দেড় টাকা, পাশাপাশি এক টাকা দাম কমাতে বলা হয়েছে তেল কোম্পানিগুলিকে। রাজ্যগুলিকেও তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে একই পরিমাণে বাণিজ্য কর বা ভ্যাট কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। জানান, অন্তঃশুল্ক হ্রাসের পদক্ষেপে কেন্দ্রের রাজস্ব আয় কমবে ১০,৫০০ কোটি টাকা।
দুটি পেট্রপণ্যের মূল্য বাড়তে বাড়তে নতুন রেকর্ড করেছে। দিল্লিতে, যেখানে সব মেট্রো শহরের মধ্যে দাম সবচেয়ে কম, সেখানেই পেট্রল ও ডিজেলের দাম যথাক্রমে লিটারে ৮৪ ও ৭৫.৪৫ টাকা।
জেটলি বলেন, ব্রেন্ট অশোধিত তেলের দাম বুধবার ছিল চার বছরের সর্বোচ্চ ব্যারেল পিছু ৮৬ মার্কিন ডলার। আমেরিকায় সুদের হারও সাত বছরের সবচেয়ে বেশি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে আজকের সিদ্ধান্ত। অবশ্য দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার এখনও চার শতাংশের কম। প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ বাড়লে আর্থিক ঘাটতির ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সহজ হয়, বলেন তিনি। কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ঘাটতি বাদ দিলে ঘরোয়া অর্থনীতির সূচকগুলি স্থিতিশীল, সবল রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে জেটলির ঘোষণার পরপরই গুজরাত সরকার লিটারে পেট্রল, ডিজেলের দাম ২.৫০ টাকা কমানোর পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। সমপরিমাণ দাম কমিয়েছে মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড় সরকারও। মহারাষ্ট্র শুধু পেট্রলের দাম কমিয়েছে।
তিনটিই বিজেপি শাসিত রাজ্য। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি ট্যুইট করেছেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় ইতিবাচক সাড়া দিয়ে গুজরাত সরকারও পেট্রল, ডিজেল দুইয়েরই দাম আড়াই টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই সব মিলিয়ে গুজরাতে ৫ টাকা শস্তা হচ্ছে পেট্রল, ডিজেল।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জেটলিকে ধন্যবাদ দিয়ে তাঁর রাজ্যেও পেট্রল, ডিজেলের দাম লিটারে ২.৫০ টাকা কমছে বলে জানান।