কলকাতা: ফের তিন জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে পোস্টার। যা ঘিরে শুরু রাজনৈতিক তরজা।


এদিন সকালে ইংরেজবাজারের একাধিক এলাকায় শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দিয়ে "আমরা দাদার অনুগামী" লেখা পোস্টার দেখা যায়। প্রচারক হিসেবে পোস্টারে নাম রয়েছে প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতার।


ওই নেতার দাবি, রাজনৈতিক কারণে নয়, শুভেন্দু অধিকারীকে সম্মান জানাতেই এই পোস্টার। অন্যদিকে, জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শাসকদলকে হেয় করতেই এই চক্রান্ত বিজেপির।


গেরুয়া শিবিরের পাল্টা দাবি, তৃণমূলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অনেককেই গুরুত্বহীন করে দেওয়া হয়েছে। তাদের পিছনে জন সমর্থন থাকায় এধরনের পোস্টার।


শুভেন্দু অধিকারীর নামে পোস্টার টাঙানো হয়েছে দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকাতেও। সেখানে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


পাশাপাশি, নদিয়ায় কৃষ্ণনগরের পর এবার চাকদায় শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দিয়ে আমরা দাদার অনুগামী লেখা পোস্টার টাঙানো হয়েছে।


পোস্টার-বিতর্ক নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বাক্য-বিনিময়। তৃণমূলের দাবি, দলে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পাল্টা কটাক্ষ, ডুবন্ত জাহাজ ছাড়ার চেষ্টা চলছে।


মুখ খুলেছেন তৃণমূল বিধায়ক তথা পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূল কার্যকরী সভাপতি অখিল গিরি বলেন, ব্যানারে মুখ্যমন্ত্রীর ও দলীয় পতাকার ছবি অবশ্যই লাগাতে হবে। তা যদি না থাকে, তা দলের কর্মসূচি হিসেবে গণ্য হবে না। তাঁর মতে, মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছাড়া পোস্টার ছাপা ও টাঙানো উচিত নয়। তাঁর মতে, দলীয় কর্মীদের উচিত নয় এধরেনর কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া। তিনি যোগ করেন, নেতা হোক বা মন্ত্রী-- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি পোস্টারে দিতে হবেই।


প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানের নেপথ্যে শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা অগ্রাহ্য করা যায় না। তিনি বলেন, বাংলায় দিদি আজ যে জায়াগায় পৌঁছেছেন, তার নেপথ্যে রয়েছে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম ফ্যাক্টর। আর নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবারের অবদান সবচেয়ে বেশি।


শুভেন্দুর ইস্যুকে হাতিয়ার করে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মতে, তৃণমূলের অবস্থা এখন বাঁধাকপির মতো। পাতা ছাড়াতে ছাড়াতে আর কপিই পাওয়া যাবে না।


তবে, নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষে জেলায় টাঙানো ফ্লেক্সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির সঙ্গে রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি।