নয়াদিল্লি: রাফাল যুদ্ধবিমান ক্রয় চুক্তি নিয়ে ফের যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)- র তদন্ত দাবি করল কংগ্রেস।এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা দাবি করেছেন, দল ও দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধীর রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। 


ফ্রান্সে ২০১৬-তে ভারতের সঙ্গে ৩৬ টি ডাসল্টের তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান ক্রয়ের চুক্তি নিয়ে ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে  জানানো হয়েছে। এরপরই রাফাল চুক্তি নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ফের এই চুক্তি নেয়ে তোপ দাগল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র বলেছেন, রিলায়েন্স-ডাসল্ট চুক্তি নিয়ে সমস্ত তথ্য প্রকাশ করেছে ফরাসি ওয়েবসাইট ‘মিডিয়াপার্ট’। 


সুরজেওয়ালার অভিযোগ, এই চুক্তিতে দুর্নীতির বিষয়টি স্পষ্ট। এখন কি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের অনুমতি দেবেন?


কংগ্রেস বলেছে, তারা শুরু থেকেই বলে আসছে, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট তদন্ত করতে পারে না। সেজন্য তারা সুপ্রিম কোর্টে যায়নি। সুরজেওয়ালা বলেছেন, দল বরাবরই বলে এসেছে, এই চুক্তির বিষয়ে জেপিসি তদন্ত হওয়া দরকার। 


সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে প্রসঙ্গটি উত্থাপনের ইঙ্গিতও দিয়েছে কংগ্রেস। সুরজেওয়ালা বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি তাঁরা সংসদের ভেতরে ও বাইরে তুলে ধরবেন।


বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র পাল্টা সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেসের অভিযোগকে অসত্য বলে খারিজ করে দিয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাকরঁ-র বিবৃতিই হোক বা ক্যাবিনেট কমিটি অফ সিকিওরিটি-র অনুমোদন- সমস্ত বিষয়েই মানুষকে মিথ্যে বলে যাচ্ছে কংগ্রেস ও তাদের প্রাক্তন সভাপতি। 


সম্বিত পাত্র বলেছেন, কংগ্রেস মিথ্যা ও কল্পকাহিনীর সঙ্গে সমার্থক।আজ তারা ফের রাফাল চুক্তি নিয়ে মিথ্যে বলেছে। কোনও দেশের এনজিও  কোনও বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করে এবং তাদের আর্থিক বিষয়ক সংস্থা যদি সেই অনুসারে তদন্তের নির্দেশ দেয়, তাহলে তাকে দুর্নীতি হিসেবে দেখা যায় না। 


সম্বিত পাত্র আরও বলেছেন, কংগ্রেস ও রাহুল গাঁধী রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ করতে গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যার উল্লেখ করছেন। তিনি আরও বলেছেন, এই চুক্তির ক্ষেত্রে যদি তদন্তের উল্লেখ করতে হয়, তাহলে সুপ্রিম কোর্টের রায় ও সিএজি-র রিপোর্ট সর্বসমক্ষে রয়েছে। মানুষ উভয় রিপোর্টই দেখেছে। চুক্তি নিয়ে ২০১৯-র ভোটেও ভ্রান্তধারণা ছড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন রাহুল গাঁধী। কিন্তু এতে কোনও কাজ হয়নি। নরেন্দ্র মোদি বিপুল জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় ফেরেন।