বারাণসী: ইউক্রেন (Ukraine) থেকে দেশে ফিরে আসা পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। আজ বারাণসীতে (Varanasi) পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। পড়ুয়ারা যুদ্ধের সময় ইউক্রেনে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানান প্রধানমন্ত্রীকে। বারাণসী ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বিভিন্ন জায়গা থেকে পড়ুয়ারা ইউক্রেনে গিয়েছিলেন। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে রাশিয়ার দাবি ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ। রুশ বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, ভারতীয় পড়ুয়াদের পণবন্দি করেছে ইউক্রেনীয় সেনা। তাদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকী রাশিয়ায় যেতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে ভারতীয় পড়ুয়াদের। রুশ দূতাবাসের তরফে ট্যুইট করে এ কথা জানানো হয়েছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সময় একই অভিযোগ জানান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক অবশ্য জানিয়েছে, ইউক্রেনে কেউ পণবন্দি নেই। অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউক্রেনও। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এশিয়া, আফ্রিকা-সহ বিভিন্ন দেশের পড়ুয়াদের জন্য হটলাইন চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন ইউক্রেন পরিস্থিতি দেখে উদ্বেগ, দেশে ডাক্তারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ভাবনা আনন্দ মাহিন্দ্রার
ইতিমধ্যেই ইউক্রেন ছাড়তে শুরু করেছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। গতকাল রাত থেকে প্রায় এক হাজার পড়ুয়াকে বায়ুসেনা ও এয়ার ইন্ডিয়ার ৫টি বিমানে দেশে ফেরানো হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আরও ৪ হাজার ৮০০ পড়ুয়াকে দেশে ফেরানো হবে। আজ সকালে ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৭ এয়ারক্র্যাফটে পোল্যান্ড হয়ে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে পৌঁছেছেন ২০৮ জন ভারতীয়।
ইউক্রেনের সংবাদ সংস্থার দাবি, ওলভিয়া বন্দরের কাছে নোঙর করা বাংলাদেশি জাহাজে রুশ সেনার মিসাইল হামলায় এক বাংলাদেশি নাবিকের মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনের কাছে কৃষ্ণসাগরে প্রস্তুত রুশ নৌবহর। এরই মধ্যে খেরসন শহর দখল করেছে রাশিয়া। খারকিভ ও মারিওপোল শহরেও বড়সড় হামলা চালায় রুশ সেনা। পাল্টা ইউক্রেনের দাবি, কিভের দিকে এগোনো রুশ কনভয়কে আটকে দেওয়া হয়েছে। রুশ সেনার তিনটি জেট ও দু’টি হেলিকপ্টারকে গুলি করে নামিয়েছে তারা। কিভ, ভোলিন, জাফোরজিয়া-সহ একাধিক শহরে জারি হয়েছে এয়ার রেড অ্যালার্ট। রাষ্ট্রপুঞ্জের দাবি, যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেন থেকে প্রতিবেশী দেশগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ।