আজ মন্দির খোলার আগেই বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নীলাক্কল বেস ক্যাম্প। অভিযোগ, মহিলাদের জোর করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের আগে পর্যন্ত মহিলারা যতদূর যেতে পারতেন, আজ সেই জায়গা পর্যন্ত যেতেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয়। এই ঘটনার ছবি তোলায় একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিককে মারধর করে তাঁর ফোন ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। ওই সাংবাদিককে ক্ষমা চাইতেও বাধ্য করা হয়। আরও কয়েকজন সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের সঙ্গেও বিক্ষোভকারীদের বচসা, ধস্তাধস্তি হয়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তাতে এক বৃদ্ধা সহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আজ সকাল থেকেই নীলাক্কল বেস ক্যাম্পের রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা পুজো দিতে যাওয়া ব্যক্তিদের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করেন। অশান্তির আশঙ্কায় নীলাক্কল বেস ক্যাম্প ও পম্পা বেস ক্যাম্পে ৮০০ পুরুষ ও ২০০ মহিলা নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়। শন্নিধানমে ৫০০ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়। কিন্তু তাতেও এড়ানো গেল না অশান্তি। এই ঘটনার জন্য আরএসএস-কে দায়ী করেছেন কেরলের মন্ত্রী ই পি জয়রাজন। তাঁর দাবি, ‘আরএসএস-এর গুণ্ডারা জঙ্গলে লুকিয়েছিল। তারাই আয়াপ্পার পুণ্যার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছে। ১০ জন সাংবাদিক, পাঁচজন পুণ্যার্থী এবং ১৫ জন পুলিশকর্মী আক্রান্ত। ১০টি সরকারি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। অন্য রাজ্য থেকে আসা পুণ্যার্থীদের মারধর করে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর পিছনে আছে আরএসএস-বিজেপি।’