এর আগেই সুপ্রিম কোর্ট থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে অযোধ্যা মামলার রায় বার করার কথা ঘোষণা করেছিল। সেই কথা মতো সবপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত শুনানি শেষ করার।
অযোধ্যার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অনুজ কুমার ঝা জানান, উৎসবের মরসুমে নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ন পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। রবিবার গভীর রাত থেকেই সমগ্র অযোধ্যায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।
বিতর্কিত জমিটিতে দীপাবলিতে প্রদীপ জ্বালানোর অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ।
মোহন্ত নয়ন দাস বলেন, ‘দীপাবলিতে যখন গোটা অযোধ্যা আলোয় সেজে উঠবে তখন রাম লালা কেন অন্ধকারে থাকবেন? এ ব্যাপারে বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে কথা বলবে হিন্দু পরিষদ’।
এর উত্তরে এর মুসলিম আইনজীবী হাজি মেহবুব বলেন, ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে ওই বিতর্কিত স্থানে যদি প্রদীপ জ্বালানোর অনুমতি দেওয়া হয় তবে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষরাও সেখানে নমাজ পড়ার অনুমতি চাইবে।’
যদিও এখনও অবধি এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেনি সরকার।
২০১০ সালে অযোধ্যা মামলার রায়ে এলাহবাদ হাইকোর্ট বলে, ২.৭৭ একর বিতর্কিক জমি রাম লালা, নির্মোহী আখড়া ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের মধ্যে সমানভাবে বন্টন করতে হবে। এর বিরুদ্ধে আবেদনের ওপরেই শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। ৬ অগস্ট থেকে অযোধ্যা মামলায় প্রতিদিন শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে।