নয়াদিল্লি:গোটা বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সেসময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) এক্সিকিউটিভ বোর্ডের চেয়ারম্যান হচ্ছেন হর্ষবর্ধন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৩৪ সদস্যের বোর্ডের মাথায় আনুষ্ঠানিকভাবে বসছেন ২২ মে। ভারতের কোভিড-১৯ মোকাবিলার লড়াইয়ে সামনের সারিতে আছেন তিনি। জাপানের ডঃ হিরোকি নাকাতানির স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন হর্ষবর্ধন।
এমন সময়ে ভারত (হু)এর এক্সিকিউটিভ বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে বসছে যখন কী করে চিনে করোনাভাইরাসের সূচনা হল এবং তা অন্য দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে চীন কী ব্যবস্থা নিয়েছে, বারবার তার তদন্ত চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ভারতের কাউকে হু-এর পরিচালনাকারী বোর্ডের প্রধান হিসাবে নিয়োগের প্রস্তাবে ১৯৪টি দেশের ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলি সই করেছে বলে খবর।
উল্লেখ করার মতো বিষয় হল, হর্ষবর্ধনের এই গুরুত্বপূর্ণ পদে বসা এখন স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা, কেননা ২০১৯ -এই স্থির হয়েছিল, ২০২০র মে মাসে তিন বছর মেয়াদের জন্য এক্সিকিউটিভ বোর্ডে ভারতের প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করা হবে। তবে হু-এর এক্সিকিউটিভ বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে এক বছর করে থাকেন আঞ্চলিক গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা।
চেয়ারম্যান পদটি সর্বক্ষণের কাজের জন্য নয়। হর্ষবর্ধন শুধুমাত্র এক্সিকিউটিভ বোর্ডের বৈঠকে পৌরহিত্য করবেন। বোর্ডের ৩৪ জন সদস্যই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যাপারে খুবই যোগ্য, অভিজ্ঞ।
বছরে দুবার বৈঠক হয় এক্সিকিউটিভ বোর্ডের। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত, নীতি স্থির করে বোর্ডই।
গত ১৮ মে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ৭৩তম ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলিতে ভাষণ দেন হর্ষবর্ধন, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ভারতে আগেভাগেই সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছিল বলেও জানান।