WB Corona LIVE: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা মুক্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৯৯৪ জন
সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ হাজার ৪৪৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩৪ জনের। ৬৩৬ জন অ্যাকটিভ করোনা রোগী বাড়ায় এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৬৩ জন।
একদিনে রাজ্যে করোনা মুক্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৯৯৪ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৬.৪২ শতাংশ।
রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ২০ হাজার পেরিয়ে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ২০ হাজার ১৩৬ জন। এই সময়পর্বে রাজ্যে ১৩২ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।
করোনাকালে পাড়ায় পাড়ায় অক্সিজেন পার্লার তৈরির ভাবনা রাজ্যের। ক্লাব ও পুজো কমিটিগুলি রাজি থাকলে সাহায্য করা হবে, নবান্ন সূত্রে খবর।
এমবিবিএস চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদেরও কোভিড চিকিত্সার কাজে নিয়োগ।
হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সময় করোনাজয়ীর টেস্টের প্রয়োজন নেই। ভর্তির ১০ দিন পর সুস্থ হয়ে উঠলে টেস্ট করতে হবে না বলেই জানিয়ে দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। টানা পাঁচ দিন জ্বর না থাকলেও আরটিপিসিআর টেস্টের প্রয়োজন নেই। উপসর্গহীন ব্যক্তি অন্য রাজ্যে গেলেও আরটিপিসিআর টেস্টের দরকার নেই। নির্মাণকারী সংস্থা থেকে সরাসরি টিকা কিনতে পারে রাজ্য, জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত বিদ্যাসাগর হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ। মৃতদের নাম যমুনা নাথ, মানোয়ারা বেগম, নিমাই পাল।
পরিবারের অভিযোগ, অক্সিজেন না মেলায় মৃত্যু। অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘হাসপাতালে মজুত অসংখ্য অক্সিজেন সিলিন্ডার, কিন্তু ফ্লো মিটার না থাকায় অক্সিজেন দেওয়ায় সমস্যা। ২০টি ফ্লো মিটারের বরাত দেওয়া হলেও এখনও মেলেনি’।
অক্সিজেনের কালোবাজারি রুখতে বারাসাত জেলা ও ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসারদের যৌথ অভিযান। বারাসাত ও সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গায় চলছে অভিযান। অক্সিজেনের কালোবাজারি করলে কড়া ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রশাসন।
অক্সিজেন সরবরাহের নাম করে দিল্লিতে প্রতারণার অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থেকে ওই অভিযোগে এক মোবাইল দোকানের মালিক পিন্টু পাল সহ গ্রেফতার ২। গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেলের গোয়েন্দারা। গতকাল রাতে গোপালনগর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। অভিযোগ, ওয়েবসাইট খুলে দিল্লির কয়েকজন বাসিন্দাকে অক্সিজেন সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেয় অভিযুক্ত। সেই বাবদ টাকাও নেওয়া হয়। কিন্তু অক্সিজেন সিলিন্ডার আর সরবরাহ করা হয়নি। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের সূত্র ধরে অভিযুক্তর হদিশ পায় তারা। আজ ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হবে। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবারের মন্ত্রিসভায় দফতর বদল হয়েছে ফিরহাদ হাকিমের। এবার তিনি পরিবহণ দফতরের দায়িত্বে। আজ তিনি নতুন দফতরে যান। তার আগে ফিরহাদ পরিবহণ দফতরের কর্মীদের ভ্যাকসিনেশনেরও তদারকি করেন।
কোভিড অ্যাপ চালু করল রাজ্য সরকার।কোভিড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে এই অ্যাপে।জানা যাবে রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা ও তার পরবর্তী পদক্ষেপগুলিও।টেলিমিডিসিন সংক্রান্ত চিকিত্সার তথ্য মিলবে এই অ্যাপে।
কোভিড রোগী এবং সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের ভর্তি নেওয়া আপাতত বন্ধ রাখল যোধপুর পার্কের ইইডিএফ হাসপাতাল। হাসপাতালে নতুন করোনা রোগী ভর্তি হলে অক্সিজেনের চাহিদা বাড়বে। সেক্ষেত্রে অক্সিজেন সরবরাহে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই আশঙ্কায় এখন রোগী ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল রাতে হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহে সমস্যা দেখা দেয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থা জানায়, গাড়ির চালক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য দফতরের সহায়তায় গতকাল গভীর রাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।
পরিবহণ দফতরের কর্মীদের ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন। ময়দানে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পের উদ্বোধন হল আজ।
বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভ্যাকসিনের লাইনে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ। ভোর চারটে থেকে লম্বা লাইন। কিন্তু সকাল ১১টাতেও দেখা গেল, ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়নি। হাসপাতালে নোটিস দেওয়া হয়েছে, ৩০০ জনকে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন প্রায় ৫০০ জন। সেই ভিড়ে দূরত্ববিধি মানার কোনও বালাই নেই। এই অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন লাইনে দাঁড়ানো অনেকে।
বিদ্যাসাগর হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ। গতকাল ওই রোগী শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হন। আজ সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, অক্সিজেন না মেলায় মৃত্যু হয়েছে ওই রোগীর।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে কার্নিশে করোনা-রোগী।গ্রিন বিল্ডিংয়ের চারতলার কার্নিশে করোনা রোগী।ভোররাতে হাসপাতালের জানলা গলে পালানোর চেষ্টা। প্রায় দেড় ঘণ্টা কার্নিশে রোগী, হাসপাতালে হুলুস্থূল।দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এসে উদ্ধার।পিপিই কিট পরে এসে রোগীকে উদ্ধার করা হল ।
করোনা আক্রান্তদের জন্য কালিম্পঙে তৈরি হল নতুন সেফ হোম। গভর্নমেন্ট পলিটকনিক কলেজের বিল্ডিংয়ে ৫০ বেডের সেফ হোম তৈরি হয়েছে।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: রাজ্যের করোনাচিত্র ক্রমশ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এই নিয়ে পরপর সাতদিন শতাধিক আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ঘোরাফেরা করছে ২০ হাজারের কাছাকাছি।
সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৯ হাজার ৪৪৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৩৪ জনের। ৬৩৬ জন অ্যাকটিভ করোনা রোগী বাড়ায় এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৬৩ জন।
করোনার কালো মেঘে ঢাকা বঙ্গের আকাশে অবশ্য আশার সোনালি আলোও রয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টা সময়পর্বে রাজ্যে করোনা জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮ হাজার ৬৭৫ জন। যার ফলে রাজ্যে এই মুহূর্তে ডিসচার্জ রেট গিয়ে দাঁড়াল ৮৬.২৬ শতাংশ।
এদিকে দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যুতে ফের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে ৪২ জনের মৃত্যু, ৩ হাজার ৯৭১ জন আক্রান্ত। কলকাতায় একদিনে ৩৪জনের মৃত্যু, ৩ হাজার ৯৪৮ জন আক্রান্ত। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণার পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হুগলি, হাওড়া, বীরভূম, নদিয়া, পশ্চিম বর্ধমান জেলার করোনা চিত্রও।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণ ২৪ পরগণায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৭৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। হুগলিতে সংক্রমিত-মৃতের সংখ্যাটা যথাক্রমে ৯৫১ জন ও ৮ জন। হাওড়াতে ১ হাজার ১৪৭ সংক্রমিত, মৃত ৬ জন। নদিয়ায় সংক্রমিত ১ হাজার ১৬ জন, মৃত ৬ জন।
রবিবার রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন ১৯ হাজার ৪৪১ জন। প্রাণ হারিয়েছিলেন ১২৪ জন রাজ্যবাসীর। আর শনিবার রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৯ হাজার ৪৩৬ জন। একদিনে করোনায় ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
রাজ্যে করোনার সংক্রমণের চেন ভাঙতে চলছে আংশিক লকডাউন। পাশাপাশি চেষ্টা চলছে দ্রুত বেশিমাত্রায় রাজ্যে ভ্যাকসিন এনে রাজ্যবাসীকে টিকাকরণের কাজ করার।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -