WB Corona LIVE Updates:করোনা আক্রান্ত আশঙ্কায় বৃদ্ধাকে তাজপুরের সমুদ্র সৈকতে বসিয়ে পালিয়ে গেলেন নাতি!
এখনও পর্যন্ত রাজ্য়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লক্ষ ১০ হাজার ৯৯৫। মোট মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ২৪৮। সুস্থতার হার ৮৫.০২ শতাংশ। বর্তমানে হোম কোয়ারান্টিনে আছেন ৩৪ হাজার ৬৫৩। রাজ্যে মোট অ্যাক্টিভ কেস ১ লক্ষ ১০ হাজার ২৪১।
করোনা আক্রান্ত আশঙ্কায় অশীতিপর বৃদ্ধাকে তাজপুরের সমুদ্র সৈকতে বসিয়ে পালিয়ে গেলেন নাতি! বেনজির অমানবিকতার ছবি পূর্ব মেদিনীপুরে। পুলিশ ও স্থানীয়দের চেষ্টায় ভর্তি করা হল হাসপাতালে।
করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও একজন বিদায়ী বিধায়কের মৃত্যু। বারুইপুর পূর্বের ২ বারের বিধায়ক নির্মল মণ্ডলের মৃত্যু।করোনা আক্রান্ত হয়ে এমআর বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু।আব্দুর রহমান, গৌরীশঙ্কর দত্তের পরে আরেক বিধায়কের মৃত্যু
কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য। নকশালবাড়ির রাঙাপানির ঘটনা। পরিবার সূত্রে দাবি, ৪১ উত্তরবঙ্গ কলেজ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স চালাতেন। করোনা টেস্ট রিপোর্ট পাওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। গতকাল রাতে বাড়ি ফিরে আসেন।আজ সকালে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। ২৬ তারিখ তাঁর করোনা টেস্ট হয়, ২৮ তারিখে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। হাসপাতালে বেড না পেয়ে তিনি মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়েন বলে পরিবারের দাবি। সেজন্যই তিনি আত্মহত্যা করেন।
যদিও উত্তরবঙ্গ হাসপাতালে বেড রয়েছে। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর ক্ষেত্রে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্টেডিয়াম বদলে গেল হাসপাতালে। কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম এখন কোভিড হাসপাতাল। রয়েছে ১৫০-র বেশি বেড। বেসরকারি হাসপাতালের উদ্যোগে এই ব্যবস্থা। জেনারেল বেডের পাশাপাশি রয়েছে, আইসিইউ, এইচডিইউ। স্টেডিয়ামের বাইরে ব্যবস্থা করা হয়েছে অক্সিজেন প্ল্যান্টের।
ঘাটতি মেটাতে বেলেঘাটা আইডিতে বসানো হল অক্সিজেনের ট্যাঙ্ক। ১৩ হাজার লিটারের এই ট্যাঙ্ক থেকে বেডে পাইপলাইনের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে অক্সিজেন।
বড়বাজারে কড়াকড়ি, পুলিশি অভিযান। করোনা আবহে রবিবার পর্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় দোকান ছাড়া বন্ধ থাকবে সব দোকান। রবিবার বন্ধ পাইকারি বাজার। এরমধ্যে বড়বাজারে ভিড় সরাল পুলিশ।
সল্টলেক আমরিতেও ভ্যাকসিনের আকাল।ভোর থেকে অপেক্ষার পর চূড়ান্ত হয়রানি সাধারণ মানুষের।কবে মিলবে ভ্যাকসিন, জানাতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। বাগবাজারের সেন্ট্রাল স্টোরেও ভ্যাকসিনের আকাল।
করোনা রোগীর মৃতদেহ সত্কার নিয়ে বাড়ছে হয়রানি। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা ও গ্রামীণ এলাকার জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করল রাজ্য সরকার। করোনা রোগীর দেহ সত্কার ও সমাধিস্থ করতে মোট ৪৬৬ জন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে কলকাতা-সহ পুর এলাকার জন্য ১২৪ এবং গ্রামীণ এলাকার জন্য ৩৪২ জন নোডাল অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের নাম ও ফোন নম্বর জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, শববাহী গাড়ি ও শেষকৃত্যের খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। শুধু সংশ্লিষ্ট করোনা রোগীর ডেথ সার্টিফিকেট সঙ্গে থাকতে হবে।
বাগুইআটির রঘুনাথপুরে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে বেড না পেয়েই অ্যাম্বলেন্সেই মৃত্যু করোনা আক্রান্তর। কাল রাত থেকেই ১৩ ঘণ্টা বাড়িতেই পড়ে করোনা আক্রান্ত রেলকর্মীর মৃতদেহ। সৎকারের ব্যবস্থা হয়নি। নিহতের স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত। এলাকায় আতঙ্ক।
করোনা আক্রান্ত সন্দেহে সত্কার ঘিরে বেহালার সিরিটি শ্মশানে উত্তেজনা। গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয়দের দাবি, রাতের অন্ধকারে পিপিই কিট পরে বেশ কয়েকটি মৃতদেহ সত্কারের জন্য এলে সন্দেহ জাগে। করোনা আক্রান্তের সত্কারের চেষ্টা চলছে এই আশঙ্কায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটে বলে তাঁদের অভিযোগ। রাত ৩টে পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। পরে বেহালা থানার পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয়। প্রশাসন অথবা শ্মশান কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
প্রেক্ষাপট
কলকাতা: সারা দেশের মতো এ রাজ্যেও অব্যাহত করোনার চোখরাঙানি। ফের করোনা সংক্রমণের নয়া রেকর্ড। বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৪০৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের। করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৮৮৫ জন। এক্ষেত্রে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে রাজ্যে ফের রেকর্ড। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, কলকাতাতেই ১ দিনে আক্রান্ত ৩ হাজার ৯০১ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় ১ দিনে করোনা আক্রান্ত ৩ হাজার ৯১২ জন। সবচেয়ে বেশি ২৩ জনের মৃত্যু কলকাতায়। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন বলছে, সামান্য কমেছে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। অ্যাক্টিভ কেস বাড়ল ৪ হাজার ৪২৯।
এখনও পর্যন্ত রাজ্য়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লক্ষ ১০ হাজার ৯৯৫। মোট মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ২৪৮। সুস্থতার হার ৮৫.০২ শতাংশ। বর্তমানে হোম কোয়ারান্টিনে আছেন ৩৪ হাজার ৬৫৩। রাজ্যে মোট অ্যাক্টিভ কেস ১ লক্ষ ১০ হাজার ২৪১।
বুধবারের হিসেব অনুযায়ী, একদিনে রাজ্যে সংক্রমিত হয়েছিলেন ১৭ হাজার ২০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছিল ৭৭ জনের। ২৪ ঘণ্টায় শুধু কলকাতাতেই ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ১৬।
এদিকে, কেন্দ্রের কাছে আরও ৩ কোটি ভ্যাকসিন চাইল রাজ্য। দেড় কোটি রাজ্যবাসীর জন্য ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়ে চিঠি দিল রাজ্য সরকার। সরকারি হাসপাতালের জন্য ২ কোটি ভ্যাকসিনের আবেদন। বেসরকারি হাসপাতালের জন্য ১ কোটি ভ্যাকসিনের আবেদন। অন্যদিকে, ভ্যাকসিন নিয়ে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় পুলিশকে চিঠি স্বাস্থ্য দফতরের। ভ্যাকসিনের সঙ্কটে বিশৃঙ্খলা তৈরির আশঙ্কায় চিঠি স্বাস্থ্য দফতরের।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -