রাঁচি: এবিপি নিউজের আলোচনাসভা ‘হিন্দুস্তান পূর্বোদয় ২০১৯’-এ যোগ দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর বক্তব্য, উপত্যকায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের মিথ্যা অভিযোগ করছে পাকিস্তান। ১৯৬টি থানা এলাকার মধ্যে মাত্র আটটিতে বিধিনিষেধ জারি আছে। অন্য কোথাও বিধিনিষেধ নেই। যে কোনও ব্যক্তি কাশ্মীরে যেতে পারেন। গত সাত দশকে কাশ্মীরে ৪১ হাজার মানুষের মৃত্যু নিয়ে কংগ্রেসকেও আক্রমণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকার প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা বরাবরই মনে করতাম, সংবিধানের ৩৭০ ধারা অস্থায়ী। আমাদের সরকার শুরু থেকেই এই ধারা সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চালাচ্ছিল। কাশ্মীর আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সারা বিশ্ব কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে আছে।’

অমিত শাহ আরও বলেন, ‘নিরাপত্তাজনিত কারণেই ফারুক আবদুল্লাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তাঁকে দু’বছর হেফাজতে রাখার প্রশ্নই নেই। কাশ্মীরে বলপ্রয়োগ করা হচ্ছে না। মানুষের গুজবে কান দেওয়া উচিত নয়। সরকার কাশ্মীরের উন্নতি চায়। সেই কারণেই সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা চাই অযোধ্যায় রাম মন্দিরের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত রায় দিক। এ বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব। কপিল সিব্বল যদি সাধারণ নির্বাচনের কথা বলে অন্তরায় হয়ে না দাঁড়াতেন, তাহলে অনেক আগেই রায় দিত সুপ্রিম কোর্ট। সারা দেশেই জাতীয় নাগরিকপঞ্জি হওয়া উচিত। কোনও ভারতীয় কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়ায় অবৈধভাবে গিয়ে বসবাস করতে পারেন? তাহলে অন্য দেশের নাগরিকরা কেন আইনি কাজগপত্র ছাড়া ভারতে এসে থাকবে?’