নয়াদিল্লি: লাভ জেহাদ নিয়ে নানা মহলে প্রবল বিতর্কের মধ্যেই দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা যার সঙ্গে, যেখানে খুশি থাকতে পারেন। সেই অধিকার তাঁর আছে। একটি মেয়ের পরিবারের দায়ের করা হেবিয়াস কর্পাস পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে, যখন একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে ভিনধর্মে বিয়েকে লাভ জেহাদ তকমা দিয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে চলেছে, তখন এই গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল আদালত।
বিচারপতি বিপিন সঙ্ঘি, বিচারপতি রজনীশ ভাটনগরকে নিয়ে গঠিত দিল্লি হাইকোর্টের বেঞ্চ মেয়েটির পরিবারের পেশ করা হেবিয়াস কর্পাস পিটিশনের ওপর স্পষ্ট অভিমত জানিয়েছে। মেয়েটির পরিবার দাবি করে, তাদের মেয়ে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ। জনৈক ব্যক্তি, যাকে তারা সনাক্ত করেছে বাবলু নামে, মেয়েটিকে অপহরণ করেছে বলে পরিবারটির অভিযোগ। মেয়েটিকে খুঁজে বের করে আদালতে পেশ করার দাবি করে তারা। মেয়েটিকে খোঁজখবর করে বের করে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বেঞ্চের সামনে পেশ করা হয়।
মেয়েটির বয়স কুড়ির কোঠায়। ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় মেয়েটি বিবৃতি দিয়ে পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, সে স্বেচ্ছায় বাবলুর হাত ধরে ঘর ছেড়েছে, তাঁকে বিয়ে করেছে। হাইকোর্ট মেয়েটির পরিবারের যাবতীয় আপত্তি উড়িয়ে তাঁকে বাবলুর সঙ্গে বসবাসের অনুমতি দিয়ে পুলিশকেও নির্দেশ দিয়েছে, দুজনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তাদের ব্য়বস্থা নিতে হবে।

প্রসঙ্গত, মুসলিম যুবকরা হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে জড়িয়ে বিয়ে করে পরে ধর্ম বদলে ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করছে, এমন অভিযোগ তুলে আইন চালুর দাবি করছে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলি। তারা এটাকে লাভ জেহাদ তকমা দিয়েছে। কিন্তু আজ দিল্লি হাইকোর্ট তার রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের নিজের পছন্দমতো জীবনসঙ্গী, সে যে ধর্মেরই হোক, বাছাইয়ের অধিকারকে স্বীকৃতি দিল।