ফয়জাবাদ: অশান্ত আফগানিস্তান। তালিবানি জঙ্গি সংগঠন ফের সে দেশ দখল করে নিয়েছে ২ দশক পরে। এরমধ্যে মঙ্গলবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের ফয়জাবাদ এলাকা। সে দেশের ফয়জাবাদ থেকে ৮৩ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে কম্পনের উৎসস্থল বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৮ মিনিট নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয় বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ট্যুইটারে ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি তরফে জানানো হয়েছে, 'কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৫ রিখটার স্কেলে। ফয়জাবাদ থেকে ৮৩ কিলোমিটারের মধ্যেই এর উৎসস্থল।' 


ভূমিকম্প অনূভূত হতেই ফয়জাবাজের সাধারণ মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অনেকেই। দৌড়োদৌড়ি শুরু হয়ে যায়। তবহে কম্পনের তীব্রতা কম থাকায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। 


এদিকে ক্রমশই খারাপ হচ্ছে আফগানিস্তানের অবস্থা। ১৯৯০-এর দশকের শেষ দিকে তালিবান শাসনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা মনে আছে আফগানবাসীর। ফের সেই জঙ্গি গোষ্ঠী জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে আফগানিস্তানে। ২০০১ সালে এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে ক্ষমতাচ্যুত করে আফগানিস্তানে থেকে যায় মার্কিন সেনাবাহিনী। কিন্তু মার্কিন সেনা ধীরে ধীরে আফগানিস্তান ছাড়তেই ফের আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তালিবান জঙ্গিদের। ২০ বছর আফগান সরকারকে সমর্থন দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জঙ্গিদের হাতে দেশ চলে যেতেই বিমানবন্দরমুখী হয়েছে আফগানিস্তানের জনতা। দেশ ছেড়ে পালানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছে।




দু'দশকের যুদ্ধ শেষ। দুর্গম পাহাড় আর রুক্ষ মরুভূমির দেশ আফগানিস্তান থেকে এবার খালি হাতে ফিরতে হল বিশ্বের সবথেকে শক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকাকে। আমেরিকার দিকে আঙুল তুলছেন কূটনীতিকরা। তবে এনিয়ে জো বাইডেন বলেন, "ফেরানো হচ্ছে মার্কিন সেনাদের। সন্ত্রাসবাদ রোধে অভিযান চালাবে আমেরিকা। আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর পরিকল্পনা ট্রাম্পের।" পরিস্থিতির জন্য় ঘুরিয়ে ট্রাম্পের উপর দায় চাপালনে বাইডেন। তিনি আরও বলেন, "বর্তমানে ৬ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। প্রয়োজন হলে কাবুলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"