বোরার দপ্তরের চালানো ২০১৯ এর সেনসাসক্রমে রাজ্যে শুয়োরের সংখ্যা ছিল ২১ লক্ষ, যা সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে প্রায় ৩০ লক্ষ হয়েছে।
বোরা বলেছেন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা হয়েছে, শুয়োরগুলিকে না মেরে বাঁচানো যায় কিনা। এই রোগে আক্রান্ত শুয়োরের মৃত্যু শতাংশের মাপকাঠিতে প্রায় ১০০ শতাংশ। তাই আমরা ভাইরাসে আক্রান্ত না হওয়া শুয়োরগুলিকে বাঁচাতে আমরা কিছু কৌশল তৈরি করেছি। যেসব জায়গায় শুয়োর মরেছে, সেখানকার ১ কিমি ব্যাসার্ধের ভিতরের এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করবে দপ্তর। পরীক্ষার পর শুধুমাত্র আক্রান্ত শুয়োরগুলিকেই মেরে ফেলা হবে।তবে এখনই ওদের হত্য়া এড়ানো হচ্ছে। দৈনিক আপডেট সংগ্রহ করা হচ্ছে, পরিস্থিতি, প্রয়োজনীয়তা বিচার করেই সিদ্ধান্ত নেব আমরা।
অসমের তিনটি ল্যাবরেটরিতে আরও পরীক্ষা চালানো হবে বলেও জানান তিনি। বোরা বলেন, শুয়োরের মাংস, রক্ত, মুখের লালা ও টিস্যু থেকে ওই ভাইরাস ছড়ায়। তাই জেলাগুলির মধ্যে শুয়োর আনা-নেওয়া হবে না। আমাদের রাজ্যের ভিতর দিয়ে শুয়োরের যাওয়ার ব্য়াপারেও কী করা যায়, দেখা হবে। ১০ কিমি রেডিয়াসের ভিতরে নজরদারি জোন থাকবে, যাতে ওই এলাকার বাইরে কোনও শুয়োর পাচার না হয়। জিপিএস ম্য়াপিংও চালু হবে। বোরা জানান, ফেব্রুয়ারির শেষদিকে এই রোগ চিহ্নিত হয়। প্রথম এর শুরু অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তবর্তী চিনের জিজাং প্রদেশের এক গ্রামে। সাধারণত, যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানো শুয়োরেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ হয়, যদিও ইদানিং বিভিন্ন খামারের শুয়োরের মধ্য়েও সংক্রমণ ছড়াতে দেখা যাচ্ছে।