কলকাতা: প্রথমে করোনার দাপট, তারপর ইয়াসের তাণ্ডব। দুইয়ে মিলে কার্যত জেরবার রাজ্যবাসী। আর এবার গোদের উপর বিষফোড়া বাজার দর। খুচরো বাজার দামের আগুনে দাউদাউ করে জ্বলছে।
একে করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে। রুটি-রুজি হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তার ওপর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডব এবং নিম্নচাপের প্রবল বৃষ্টি ফসলের ক্ষতি করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি সহ একাধিক জেলার। এর ওপর ক্রমাগত বেড়েই চলেছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম।
২৫ মে থেকে ৩১ মে, সোমবর পর্যন্ত শুধু পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি বেড়েছে ৯৮ পয়সা। একই সময়ে ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ১ টাকা ৯ পয়সা বেড়েছে। সোমবার লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম ২৮ পয়সা বেড়ে হয়েছে লিটারপ্রতি ৯৪ টাকা ২৫ পয়সা। ডিজেলের দাম বেড়েছে লিটারে ২৬ পয়সা। কলকাতায় ডিজেলের নতুন দাম ৮৮ টাকা।
বাজারে দামের আগুনে হাত পুড়ছে সেলিব্রিটি থেকে আম জনতার। অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু বলেন, খুবই দুর্দিনের মধ্যে আমরা রয়েছি। সর্বদিক থেকেই কীরকম কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছি। গড়িয়াহাট বাজারে এক ক্রেতা অলকা বিশ্বাস বলেন, মাছের দাম বেশি, সরষের তেল ২০০ পেরিয়েছে। সবকিছুর দাম বেশি।
কতটা বেড়েছে দাম? কাটা মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ২২০ টাকা। সরষের তেল ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। রিফাইন্ড তেল কেজিপ্রতি ২০০ টাকা ছুঁইছুঁই। পোলট্রির ডিম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬টা পিস। সবজিতেও হাত দেওয়ার জো নেই। পেঁপে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শশার দাম ৬০ টাকা কেজি। বেগুনের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা। পটল ৩০-৪০ টাকা কেজি। ঢেঁড়শও বিক্রি হচ্ছে ৩০ - ৪০ টাকা কেজি দরে।
কেন এতটা দাম বাড়ল? এখন বন্ধ লোকাল ট্রেন। গাড়িতে আসছে পণ্য। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ও গাড়িতে পণ্য আনার খরচকে এর জন্য দায়ী করছেন বিক্রেতারা। গড়িয়াহাট বাজারের মুরগির মাংসের বিক্রেতা বলেন, ঝড়ের পরেরদিন তেকেই মুরগির দাম বেড়ে গেছে। মাছ বিক্রেতা বিনোদ দাসের কথায়, টেম্পো করে মাছ আনা হচ্ছে। তার জন্য সব রকমের মছের দাম বেশ চড়া।