নয়াদিল্লি: করোনা রোধে এবার ওষুধের আবিষ্কারের দিকে নজর দিচ্ছে বিশ্বের একাধিক দেশ। শুধু ভ্যাকসিনের দিকে তাকিয়ে থাকা নয়, এবার নতুন ভাবনার দিকে এগোচ্ছেন গবেষকদের একাংশ।


করোনা আক্রান্তদের সুস্থ করে তোলার জন্য কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। এই অবস্থায় এক দল গবেষক ওষুধ আবিষ্কারের দিকে নজর দিচ্ছেন। ওই ব্রিটিশ গবেষকদের লক্ষ্য, করোনা আক্রান্ত হলেও নির্দিষ্ট ওষুধের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সুস্থ করে তোলা। ডা. ক্যাথারিন হুলিহানের তত্ত্বাবধানে এই ড্রাগ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তিনি লন্ডন কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজিস্ট এবং তাঁর দল কাজ শুরু করে দিয়েছে। তাঁদের এই মহাযজ্ঞে আছে অ্যাস্ট্রাজেনেকাও। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ট্রায়ালের প্রস্তুতিও।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই ওষুধে AZD7442 অ্যান্টিবডি মিশ্রিত আছে। যা অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রস্তুত করেছে। ল্যাবে তৈরি করা হয়েছে এই অ্যান্টিবডি। এই ওষুধ নিয়ে আশাবাদী দল। গবেষকরা জানাচ্ছেন, অ্যান্টিবডির এই মিশ্রণ সুরক্ষা দেবে ৮ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত। ট্রায়াল পর্বে দুটি ডোজ পরপর দেওয়া হবে।
গত ৮ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের নিয়ে ট্রায়াল শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এই পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন করা হবে।

গবেষকদের বিশ্বাস, ট্রায়ালে সাফল্য মিললে এবং নিয়ামক সংস্থা অনুমোদন দিলে আগামী বছর মার্চ, এপ্রিলের মধ্যে এই ওষুধ পাওয়া যাবে।
হুলিহান ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে এই ওষুধ রাতারাতি সুরক্ষা দেবে করোনা আক্রান্তকে। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, এই ওষুধ শরীরে দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি করবে। আপনি ভ্যাকসিন নিতেই পারেন, কিন্তু আমরা কখনই বলব না টিকা আপনাকে ১০০ শতাংশ সুরক্ষা দেবে।
ইতিমধ্যে একাধিক দেশ ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে। আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলাতেও ব্যবহার করা হচ্ছে ভ্যাকসিন। ভারতেও ড্রাই রান শেষে টিকাকরণের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এই আবহে ভিন্ন পথে হাঁটছেন একদল গবেষক। করোনা রোধে বিকল্প পদ্ধতির কথা বলছেন তাঁরা।