Ahmedabad Plane Crash: 'MAYDAY' কলের ১৩ সেকেন্ড আগেই 'RUN' মোডে ফেরে জ্বালানির সুইচ ! ক্ষণিকের মধ্যেই বিমান ভেঙে পড়তে দেখে ATC
Plane Crash : Aircraft Accident Investigation Bureau-র তথ্য অনুসারে, প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

আমদাবাদ : আশার আলো পুরোপুরি জ্বলে ওঠার আগেই নিভে যায়। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলে "MAYDAY" কল করার মাত্র ১৩ সেকেন্ড আগেই জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচগুলিকে "CUTOFF" (জ্বালানি বন্ধ) মোড থেকে পুনরায় "RUN" (জ্বালানি প্রবাহিত হওয়া)-এ ফিরিয়ে আনা হচ্ছিল। কিন্তু, শেষমেশ তা ধরে রাখা যায়নি। যার ফলে ১২ জুন ঘটে যায় সেই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। আমদাবাদে ভেঙে পড়ে আমদাবাদ-লন্ডনগামী AI171 Dreamliner বিমান। অসামরিক পরিবহন মন্ত্রকের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
টেকঅফ অর্থাৎ উড়ানের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দুই ইঞ্জিনের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ স্যুইচ "RUN" মোড থেকে "CUTOFF" মোডে চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে এক পাইলট অপর পাইলটকে জিজ্ঞাসা করেন, "জ্বালানি সরবরাহ কেন বন্ধ করে দিলেন ?" তাতে অপরজন উত্তর দেন, "আমি করিনি।" অস্বাভাবিক এই ঘটনার কথা দুই পাইলটের কথোপকথনে উঠে আসে। যা রয়েছে ককপিট রেকর্ডিংয়ে। জ্বালানি নিয়ন্ত্রণের সুইচ দুর্ঘটনাবশত একটা থেকে অপরটাতে পাল্টে যেতে পারে না। যা নিয়েই যত প্রশ্ন।
Aircraft Accident Investigation Bureau-র তথ্য অনুসারে, প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। এমনকী সুইচগুলো RUN -এ ফিরিয়ে আনাও হয়েছিল। শেষ অবধি অবশ্য বিমান দুর্ঘটনায় ২৭৪ জনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার এক মাস পর আজ প্রকাশিত AAIB-এর প্রতিবেদন অনুসারে, প্রথম ইঞ্জিনের মূল গতি হ্রাস পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, বিপরীতমুখী হয় এবং পুনরুদ্ধার শুরু হয়, কিন্তু দ্বিতীয় ইঞ্জিনের গতি কমানো যায়নি। Air India Plane Crash
এরপর জ্বালানিতে পূর্ণ বিমানটি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং মেডিক্যাল ছাত্রদের একটি হস্টেলে গিয়ে আছড়ে পড়ে। সেখানে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সকলেই মারা যান এবং নীচেতে থাকা প্রায় ৩০ জন মারা যান। এটি মাত্র ৩২ সেকেন্ডের জন্য আকাশে ছিল বিমানটি। এই দুর্ঘটনার খবর নাড়িয়ে দেয় গোটা দেশকে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল, যিনি একজন লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন ছিলেন। যার ৮,২০০ ঘণ্টা উড়ানের অভিজ্ঞতা ছিল এবং তাঁকে সাহায্য করেছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর, যিনি ১,১০০ ঘণ্টা উড়িয়েছিলেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, উভয় পাইলটই সুস্থ এবং বিশ্রামে ছিলেন, পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতাও ছিল। Ahmedabad Plane Crash Incident
























