Ahmedabad Plane Crash : 'কেন কাটঅফ করলে ?' সহ-পাইলটকে জিজ্ঞাসা অপর পাইলটের ; সামনে এল আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট !
Air India Plane Crash: জ্বালানিতে পূর্ণ বিমানটি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং মেডিক্যাল ছাত্রদের একটি হস্টেলে গিয়ে আছড়ে পড়ে। সেখানে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে।

আমদাবাদ : কী কারণে ভয়ঙ্কর বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল আমদাবাদে ? এক মাস পর সামনে এল আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট। অন্তত ২৭০ জন মানুষের প্রাণ চলে যাওয়ার পিছনে আসল কারণ কী ছিল ? তা নিয়ে দুর্ঘটনার পরই নানা পর্যবেক্ষণ উঠে আসে। কিন্তু, প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট বলছে, ইঞ্জিনের জ্বালানি সুইচ 'RUN' থেকে 'CUTOFF'-এ চলে গিয়েছিল। বিমান উড়ানের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এই অবস্থা হয়। শনিবার ১৫ পাতার এই রিপোর্ট প্রকাশ করে Aircraft Accident Investigation Bureau (AAIB)। এরাই ঘটনার তদন্ত করছে।
ককপিট ভয়েস রেকর্ডিংয়ে শোনা গেছে, এক পাইলট অপর পাইলটকে জিজ্ঞাসা করছেন, "Why did you cut off?" অর্থাৎ কেন জ্বালানি সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হল তা জানতে চান তিনি। অপর পাইলট উত্তরে জানান, তিনি তা করেননি। কিন্তু, কী এই CUTOFF ব্যবস্থা ? এর অর্থ, বিমানের জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হওয়া। উড়ানের সঙ্গে সঙ্গেই যদি তা হয়, তাহলে তার পরিণতি সহজেই অনুমান করা যায়। এবং এই কারণে, ১২ জুন বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে মনে করা হচ্ছে।
কিছুক্ষণ পরে, লন্ডনগামী বিমানের উভয় ইঞ্জিনের সুইচ CUTOFF থেকে RUN-এ পরিবর্তন করা হয়, যা থেকে বোঝা যায় যে, পাইলটরা পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেছিলেন। Enhanced Airborne Flight Recorders (EAFR) থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক বিমানগুলিতে একটি ইঞ্জিনে উড়ান সম্পন্ন করার জন্য যথেষ্ট শক্তি থাকে এবং পাইলটরা সেই ঘটনার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত। তবে, EAFR রেকর্ডিং কয়েক সেকেন্ড পরে বন্ধ হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই, একজন পাইলট MAYDAY সতর্কবার্তা পাঠান। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল কল সাইন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু, তারা কোনও সাড়া পায়নি। এরপরই তারা দেখে, বিমানবন্দরের সীমানার বাইরে বিমানটি ভেঙে পড়ছে।

Aircraft Accident Investigation Bureau-এর রিপোর্টের অংশবিশেষ
জ্বালানিতে পূর্ণ বিমানটি দ্রুত নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং মেডিক্যাল ছাত্রদের একটি হস্টেলে গিয়ে আছড়ে পড়ে। সেখানে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে ২৪২ জন আরোহীর মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সকলেই মারা যান এবং নীচেতে থাকা প্রায় ৩০ জন মারা যান। এটি মাত্র ৩২ সেকেন্ডের জন্য আকাশে ছিল। Ahmedabad Plane Crash Incident
বিমানটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল, যিনি একজন লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন ছিলেন। যার ৮,২০০ ঘণ্টা উড়ানের অভিজ্ঞতা ছিল এবং তাঁকে সাহায্য করেছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর, যিনি ১,১০০ ঘণ্টা উড়িয়েছিলেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, উভয় পাইলটই সুস্থ এবং বিশ্রামে ছিলেন, পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতাও ছিল।






















