নয়াদিল্লি: উৎসবের রেশ কাটেনি। ঠিক তেমনভাবেই দূষণও যেন পিছু ছাড়ছে না দিল্লিবাসীর। দীপাবলির পরেও বাতাসের গুণগত মান ‘গুরুতর’। এমনটাই জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ( Central Pollution Control Board )তথ্য অনুযায়ী বুধবার সকালে আনন্দবিহার এলাকায় বাতাসে গুণমান ছিল ৪৩০। সকাল ৭টার হিসেব অনুযায়ী, আর.কে পুরমে বাতাসের গুণমান ছিল ৪১৭, পাঞ্জাবি বাগ এলাকায় গুণমান ছিল ৪২৩, জাহাঙ্গিপুরী এলাকায় বাতাসের গুণগত মান ৪২৮।
রাত কেটে সকাল হয়েছে। কিন্তু আঁধার কাটছে দিল্লি। কমতে শুরু করেছে রাজধানীর তাপমাত্রা। কেটে গিয়েছে দীপবলিও। কিন্তু দূষণ আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না দিল্লিবাসীর।গত কয়েকদিনের মতো এদিন সকালেও পরিস্থিতির কিছু হেরফের হল না। আশা ছিল, দীপবলির পর অন্তত খানিকটা স্বস্তি মিলবে। কিন্ত পরিসংখ্যান বলছে অন্য কথা। এদিকে তরজায় জড়িয়েছে বিজেপি এবং আম আদমি পার্টি। বাজি পোড়ানোর প্ররোচনা দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। তাই পরিস্থিতি বলে দাবি আপের। অন্যদিকে, বিজেপির অভিযোগ, পাঞ্জাবে প্রচুর ফসল পোড়ানোর জন্যই এই দূষণ। বিজেপির দিকে আঙুল তুলে দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই বলেন, "পাঞ্জাবের তুলনায় উত্তরপ্রদেশে অনেক বেশি পরিমাণে ফসল পোড়ানো হয়েছে। বাজি পোড়ানোতেও প্ররোচনা দিচ্ছে তারা।''
এদিকে দূষণের প্রকোপ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে শীতকালীন ছুটির আগেই ৯ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে দিল্লির স্কুলগুলিতে। দিল্লির বাতাসের গুণমানের আরও অবনতি ঘটায় বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার মাত্রা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এর জন্য মূলত হরিয়ানা এবং পঞ্জাবে ফসলের গোড়া পোড়ানোকে দায়ী করা হচ্ছিল। সেই নিয়ে আগেই কড়া নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র এবং রাজ্যের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করার পাশাপাশি, সকলকে একজোট হয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: Nadia News: চাকদা নাট্যজনের নাটকে 'না'? বুকিং বাতিল নবদ্বীপ পুরসভার