নয়াদিল্লি: চিন-ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) নিয়ে বিরোধ, লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাতাহাতি, সংঘর্ষে এক কর্নেল সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ানের মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে চিনকে উপযুক্ত জবাব দিতে চিনা পণ্য বয়কটের যে ডাক উঠেছে, তারই সূত্র ধরে চিনা খাবারদাবার বয়কটের দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আথওয়ালে। রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়ার (আরপিআই-এ) এই নেতা আরও বলেছেন, চিনা খাবার বিক্রি করা রেস্তোরাঁগুলিও নিষিদ্ধ করা উচিত। রাজ্য সরকারগুলি সেগুলি বন্ধ করার নির্দেশও দিক। যাঁরা চিনা খাবার খান, তাঁদেরও তা বয়কটের আবেদন করছি। চিনা পণ্য, খাবারের পাশাপাশি সেদেশের কাগজপত্রেও নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রামদাস বলেছেন, চিনের বইপত্র, সেখান থেকে আসা যাবতীয় পণ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি হোক। ওদের কোম্পানিগুলিকেও এখানে ব্যবসা করতে দেওয়া উচিত নয়। আমরাই দেশে এ ধরনের কোম্পানি তৈরি করব যারা এখানে সেই জাতীয় পণ্য বানাতে পারে।


চিনকেও সীমান্তে তার আচরণ খতিয়ে দেখে জঘন্য কাজকর্ম বন্ধ করতে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, তোমরা আমাদের থেকে বুদ্ধকে নিয়েছ, কিন্তু আমরা তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ চাই না। কেননা যুদ্ধে উভয়েরই ক্ষতি, লোক মরবে, অর্থনীতিরও ক্ষতি হবে। আমরা সীমান্ত পেরোচ্ছি না, তবে তোমরা কেন পেরোচ্ছ?
ভারতের বক্তব্য, চিনা সেনারা পূর্ব লাদাখে উত্তেজনার পারদ হ্রাসের মধ্যেই একতরফা স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা করে বলেই সংঘর্ষ হয় সোমবার রাতে, উপর মহলে হওয়া বোঝাপড়া চিনা সেনাবাহিনী ঠিকমত মেনে চললে এমন পরিস্থিতি এড়ানো যেত।
এদিকে বিজেপি নেতা রাম মাধবের দাবি, ভারতের বাইরের দেশগুলি, বিশেষত চিন থেকে আমদানি কমানো উচিত। ভারতের রাসায়নিক, মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশ, বাটন তৈরির ক্ষমতা আছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এগুলি বাইরে থেকে আমদানি করি। এগুলি আমদানি করা কি অতি আবশ্যকীয়? ভারতেই বানানো যেতে পারে। অন্য দেশ, বিশেষ করে চিন থেকে আমদানি কমানো উচিত আমাদের।
মানুষ চিনা পণ্য বর্জনের ডাকে সাড়া দিলে তাদের অনুভূতিকে সম্মান করা উচিত বলেও অভিমত জানান মাধব।