বেঙ্গালুরুঃ কর্নাটক বিধানসভায় বুধবার পাশ হয়েছে গো-হত্যা বিরোধী বিল। এর ফলে এই দক্ষিণী রাজ্যে গবাদি পশুহত্যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিরোধী দলগুলি।
বিজেপি শাসিত কর্নাটকে বহুদিন ধরে গো-হত্যা নিষিদ্ধকরণের দাবিতে সরব গৈরিক শিবির। বুধবার বিধানসভায় গবাদি পশু হত্যা বিরোধী ও সংরক্ষণ বিল, ২০২০ পেশ করেন পশুপালন মন্ত্রী প্রভু চৌহান। ওই বিল পেশের সময় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিরোধী কংগ্রেস এবং জেডিএসের বিধায়কেরা। আগের আইন অনুসারে, গবাদি পশুর বয়স ১২ বছরের বেশি হলে সেটিকে জবাইয়ের অনুমতি ছিল কর্নাটকে। প্রজননে অক্ষম এবং দুধ দিতে পারে না, এমন গরু ও মোষ হত্যা করা যেত। কিন্তু বুধবার বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলটি আইনে পরিণত হলে সেসবও বেআইনি হয়ে যাবে।
২০১০ সালে কর্নাটকে ক্ষমতায় থাকাকালে বিজেপি সরকার বিধানসভায় গো-হত্যা বিরোধী বিল পাশ করেছিল। ওই বিলে কসাইয়ের বিরুদ্ধে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করার সংস্থান, অপরাধীর সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড, এক লক্ষ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানার সংস্থান ছিল। এ ছাড়াও গরুর পাল নিয়ে যাওয়া অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল।
কিন্তু ২০১৩ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর বেঙ্গালুরুর মসনদে বসে কংগ্রেস-জেডি(এস)। বিজেপি সরকারের আমলে পাশ হওয়া গো-হত্যা বিরোধী বিলটি তারা আর রাজ্যপালের কাছে পাঠায়নি। ফলে ওই পাশ হওয়া বিলটি আর আইনে পরিণত হয়নি।
বুধবার বিল পেশের সময় কংগ্রেস বিধায়কদের বিরোধিতার নেতৃত্ব দেন পরিষদীয় নেতা সিদ্দারামাইয়া এবং জেডি(এস) বিধায়কদের নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। বিরোধীদের অভিযোগ, বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটিতে আলোচনা ছাড়াই বিধানসভায় বিলটি পেশ করা হয়েছে। স্পিকার বিশ্বেশ্বর হেগড়ে খাগেরি অবশ্য বিরোধীদের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। এর প্রতিবাদে অধিবেশ কক্ষত্যাগ করেন জেডি(এস) বিধায়করা। কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার অভিযোগ, সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পথে বিল পাশ করিয়েছে বিজেপি সরকার। অধিবেশন বয়কটের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।