নয়াদিল্লি: ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার যুবরাজ সিংহের বাবা যোগরাজ সিংহের বিরুদ্ধে এবার সরব নেটিজেনরা। কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্রাক্তন ক্রিকেটার যোগরাজের বক্তব্যের বিরোধিতায় নেমেছে নেটিজেনদের একাংশ। দুবারের বিশ্বকাপ জয়ীর বাবাকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছে তারা। কৃষক আন্দোলন নিয়ে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আর তার জেরেই যোগরাজকে ‘হিন্দু-বিরোধী’ তকমা দেওয়া হয়। হিন্দু মহিলাদের তিনি অপমান করেছেন বলেও অভিযোগ । এদিন Arrestyograjsingh  হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইটারে তাঁকে গ্রেফতারির দাবি করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় রাস্তায় নেমেছেন কৃষকরা। রাজধানীর তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে নিজেদের দাবিতে অনড় তাঁরা। হাজার হাজার কৃষক অবরুদ্ধ করেছেন দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রের ৩টি কৃষি আইন বাতিল করা হোক। একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কৃষক নেতাদের বৈঠক হলেও মেলেনি সমাধান সূত্র। আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় অবস্থান নিয়ে দিল্লি ঘেরাও অভিযান চালাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের পক্ষে সমর্থনের ঢল নেমেছে। পঞ্জাবি শিল্প, সাহিত্য দুনিয়ার অনেকে কৃষকদের সমর্থনে সরকারি পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন। তার মধ্যেই এক ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে যোগরাজকে হিন্দু মহিলাদের সম্পর্কে নোংরা মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি নাকি আন্দোলনরত কৃষকদের জমায়েতে গিয়েই ওই মন্তব্য করেছেন। দাবি করা হচ্ছে, যোগরাজ বলেছেন, এই হিন্দুরা গদ্দার, শত বছর মুঘলদের গোলামি করেছে। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনরা তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যকে আপত্তিকর, অপমানজনক, প্ররোচনামূলক বিদ্বেষমূলক আখ্যা দিয়েছেন।


যোগরাজের বিরুদ্ধে দুমদাম, আলটপকা মন্তব্য, যা মুখে আসে বলে দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। অতীতে বেশ কয়েকবার তিনি শিরোনামে এসেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে নিশানা করে। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ধোনির জন্য়ই ভারতীয় টিমে জায়গা হয়নি তাঁর ছেলে যুবরাজের। তা নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে বিস্তর।


এদিকে সিংঘু সীমান্তে জড়ো হওয়া কৃষকরা তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের প্রতিনিধিদের বৈঠকে সমাধানসূত্র না বেরনোয় ৮ ডিসেম্বর ভারত বনধের ডাক দিয়েছেন।  এপর্যন্ত সরকারের সঙ্গে ৫ দফা বৈঠক হলেও কোনও ফলদায়ক সূত্র বেরয়নি। কৃষকদের উদ্বেগ, নতুন আইনে এপিএমসি মান্ডি ও বেসরকারি বাজারের মধ্যে ভারসাম্য, ট্রেডারদের রেজিস্ট্রেশন  ও বিতর্ক নিরসনে তাদের দায়রা আদালতে যাওয়ার সুযোগ থাকবে কিনা, তা নিয়ে।