নয়াদিল্লি: গ্রেফতারির পর আজ সকালে রাঁচির বিশেষ আদালতে পেশ করা হল ঝাড়খণ্ডের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Hemant Soren Produced In Randhi Special Court) হেমন্ত সোরেনকে। গাড়ি থেকে ইডি আধিকারিকরা যখন তাঁকে 'এসকর্ট' করে নামাচ্ছেন, তখনও হাসিমুখে হাত নাড়তে দেখা গিয়েছে জেএমএম নেতাকে। তবে বুধবার তুমুল উত্তেজনার মাঝে তাঁর গ্রেফতারির পর থেকে এখনও ঝাড়খণ্ডে কোনও সরকার নেই, জানিয়ে রাজ্যপালকে জরুরিবার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী চম্পাই সোরেন। সূত্রের খবর, তাঁকে আজই বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন। 


যা জানা গেল...
আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে রাঁচির বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে। একই সঙ্গে গ্রেফতারির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হেমন্ত সোরেন। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। এর আগে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন জেএমএম নেতা। পরে সেই আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। গত কাল, রাঁচির বাসভবনে প্রায় ঘণ্টাসাতেক জিজ্ঞাসাবাদের পর জমি-দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তার আগে অবশ্য সপ্তাহখানেক ধরে এই নিয়ে টানাপড়েন চলেছে। এমনকি, দিল্লিতে ৪৮ ঘণ্টার জন্য সদ্যপ্রাক্তন ঝাড়খণ্ডের মুখ্য়মন্ত্রী 'নিখোঁজ' হয়ে যান বলেও জল্পনা ছড়ায়। তবে সূত্রে খবর, বুধবার তাঁর গ্রেফতারির বিষয়টি নিশ্চিত হতেই শুরু হয় আর এক প্রস্ত টানাপড়েন। হেমন্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন, মুখ্য়মন্ত্রীর পদে ইস্তফা না দেওয়া পর্যন্ত তিনি 'অ্যারেস্ট মেমো' সই করবেন না। অতঃপর ইস্তফা এবং গ্রেফতারি। 
কিন্তু তার পর থেক ১৮ ঘণ্টার বেশি সময় কেটে গেলেও ঝাড়খণ্ডে নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে কাউকে দেখা যায়নি। ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, এই মর্মে রাজ্যপাল    সিপি রাধাকৃষ্ণনকে একটি জরুরিবার্তা পাঠান চম্পাই সোরেন। সঙ্গে এও আর্জি জানান, যে সরকার গঠনের জন্য যেন দ্রুত পদক্ষেপ করেন রাজ্য়পাল। এর পরই  খবর মেলে, আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ রাজ্যপাল তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছেন। 


চম্পাই সোরেন কেন?
গত কাল হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির পর ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার পরিষদীয় দল চম্পাই সোরেনকে মুখ্য়মন্ত্রী পদের জন্য বেছে নিয়েছিল বলে খবর। আজ, রাজ্যপালকে পাঠানো চিঠিতে তিনি লেখেন, জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডি মিলিয়ে মোট ৪৭ জন বিধায়কের সমর্থনপত্র ইতিমধ্যে পেশ করা হয়েছে যা কিনা ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে বেশি। তাঁর আরও দাবি, সমস্ত বিধায়ককে নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন। কিন্তু কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। 


আরও পড়ুন:বছরের প্রথম মাসেই বাজিমাত, GST বাবদ রেকর্ড আয় কেন্দ্রের