নয়াদিল্লি: স্বাস্থ্যজনিত কারণ দেখিয়ে অন্তর্বর্তী জামিনের সময়কাল বর্ধিত করতে আবেদন জানিয়েছে ধাক্কা খেতে হল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। আরও এক সপ্তাহের জন্য জামিনের মেয়াদ বর্ধিত করতে চেয়ে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি চেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের কাছে তাঁর আবেদনটি পাঠানো হবে এবং তিনি যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। (Arvind Kejriwal)


দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে, দিল্লির সাতটি আসনকে গুরুত্ব দিয়ে তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে আদালত। গত ১ জুন জেল থেকে বেরিয়ে আসেন কেজরিওয়াল। ২ জুনের মধ্যে তিহাড় জেলে ফিরে যাওয়ার কথা তাঁর। (Delhi Liquor Scam Case)


তিহাড়ে ফিরে যাওয়ার সময় এগিয়ে আসায় সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানান কেজরিওয়াল। আদালতে কেজরিওয়ালের আইনজীবী জানান, Aam Aadmi Party-র প্রধান ডায়বিটিসের রোগী। আরও কিছু পরীক্ষা করানো প্রয়োজন তাঁর। তাই জরুরি ভিত্তিতে আবেদনের শুনানি হলে ভাল বলে আদালতে জানান কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি।


আরও পড়ুন: Gurmeet Ram Rahim Singh: গত দু'বছরেই সাত বার প্যারোল মঞ্জুর, এবার খুনের মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন রাম রহিম


সিঙ্ঘভি জানান, এখনই প্রযোজনীয় চিকিৎসাগুলি না করালে তিহাড়ে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা দেখা দিতে পারে কেজরিওয়ালের। আদালতের নির্দেশ মতোই কেজরিওয়াল আচরণ করবেন বলেও জানান তিনি। সিঙ্ঘভি আদালতে জানান,  রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক অবিলম্বে পরীক্ষাগুলি করাতে বলেছেন, যার মধ্যে গোটা শরীরের PET-CT স্ক্যানও রয়েছে। সব মিলিয়ে পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগবে তাতে।লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পাঁচ দিন পর, আগামী ৯ জুন আত্মসমর্পণ করবেন বলে আদালতে জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। 


কিন্তু মঙ্গলবার বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী এবং কেভি বিশ্বনাথনের ভেকেশন বেঞ্চে কেজরিওয়ালের আবেদনের শুনানি শুরু হলে আদালত জানায়, কেজরিওয়ালের আবেদনটি গ্রহণের পর প্রধান বিচারপতিই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। গত সপ্তাহেই কেন এ নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হল না, তা-ও জানতে চায় আদালত। অর্থাৎ ২ জুনের মধ্যে আবেদনটি গৃহীত না হলে, ২ জুন তিহাড়ে ফিরে যেতে হবে কেজরিওয়ালকে। অন্যথায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে তাঁর বিরুদ্ধে। আপাতত প্রধান বিচারপতির সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে সকলে।