Assam Flood Situation: বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতি অসমে, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রীভূমির প্রায় ৪০ হাজার বাসিন্দা ! জলের তলায় বহু গ্রাম, সব ছেড়ে ঠাঁই ত্রাণশিবিরে..
Assam Flood Situation Update: প্রবল বর্ষণে ভয়াবহ পরিস্থিতি অসমের শ্রীভূমিতে, জলের তলায় বসত বাড়ি, কী বলছে রিপোর্ট ? ত্রাণশিবিরে যারা গেলেন, কী অবস্থায় আছেন ?

আসাম: প্রবল বর্ষণে ক্রমশ বন্যা পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে অসমে। একনাগাড়ে ভারী বৃষ্টিই কাল হয়ে উঠেছে। বন্যা পরিস্থিতি শ্রীভূমি জেলায়। এদিকে কুশিয়ারা নদী-সহ এই জেলার অন্যান্য নদীর জলের স্তর ক্রমশ বেড়ে চলেছে। যার জেরে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এই জেলায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন, নামা হল না দিল্লি, ধুলোর ঝড়ে মাঝআকাশে বিপদের মুখে ইন্ডিগোর বিমান !
প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ক্ষতির মুখোমুখি, ত্রাণশিবিরে যারা গেলেন, কী অবস্থায় আছেন ?
ANI সূত্রে খবর, ৩০০ এর বেশি গ্রাম প্লাবনের মুখে। যদিও জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই এগিয়ে এসেছে। গড়ে তোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির । সেখানেই বন্যার্থী ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রীভূমির ডিস্ট্রিক কমিশনার প্রদীপ কুমার দ্বিবেদী জানিয়েছেন, 'এহেন পরিস্থিতিতে এই জেলার ৩০০ টিরও বেশি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই জেলায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন। গতকাল থেকেই ত্রাণ সরবারহ শুরু হয়েছে। ত্রাণশিবিরগুলিতে আমরা বন্যার্থীদের মাঝে তৈরি করা গরম খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। এর পাশাপাশি আমরা বাচ্চাদের জন্যও খাবার পাঠাচ্ছি। আমরা সেখানে মেডিক্যাল ক্যাম্পও গঠন করেছি।' তবে এই বন্যায় দুজনকে বাঁচানো যায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিপদসীমার উপর বইছে কুশিয়ারা নদীতে, জলের তলায় বহু গ্রাম
শ্রীভূমির ডিস্ট্রিক কমিশনার আরও বলেন, অতি ভারী বর্ষণের জেরে ইতিমধ্যেই বিপদসীমার উপর দিয়ে জল বইছে কুশিয়ারা নদীতে। সিংলা, বারাক, লঙ্গাই নদীতেও একই অবস্থা বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে গত ২৪ ঘণ্টায়, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছে। দুটি নদীতে জলস্ফীতি হ্রাস হয়েছে। ASDMA (Assam State Disaster Management Authority) এর ফ্লাড রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামের মোট ১৯টি জেলায় ৩.৬৪ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ৭৫৮ টি গ্রাম জলের তলায়। যদিও নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
টানা বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম
টানা বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম। তিস্তার জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় তার জেরে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছে মাঙ্গান থেকে চুংথাঙ যাতায়াতের সংযোগসেতু ফিডাং বেইলি ব্রিজ। বেড়াতে গিয়ে সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন পর্যটকরা। ধসের কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২ জওয়ান-সহ ৩ জনের। এখনও ৬ জওয়ান নিখোঁজ বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে।






















