আভিকা আর ছোট নেই, ২৩ বছর বয়স তার। সে ইনস্টাগ্রামে লিখেছে, গত বছর এক রাতে আয়নায় নিজেকে দেখে কেঁদে ফেলেছিলাম। কী বিশাল হাত পা, পেট। যদি থাইরয়েড, পিসিওডির মত রোগে ভুগে এ সব হত, কিছু ভাবতাম না। কিন্তু শুধু আমি ইচ্ছেমত খেয়ে খেয়ে এটা করেছি। কোনওদিন ব্যায়াম করিনি। শরীরের যত্ন নেওয়া উচিত, আমি কোনওদিন সম্মান করিনি তাকে।
নিজের চেহারা আমার এত অপছন্দ হয়েছিল, যে ইচ্ছেমত নাচতেও পারতাম না। শুধু মনে হত, এখন আমাকে কেমন দেখাচ্ছে। সারাক্ষণ নিজের বিচার করতাম আর মনোকষ্টে ভুগতাম। এই নিরাপত্তাহীনতা আমাকে ক্লান্ত, বিরক্ত করে তুলেছিল। প্রিয়জনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতাম যখন তখন।
আভিকা জানিয়েছে, এরপর একদিন সে ঠিক করে, যথেষ্ট হয়েছে। বুঝতে পারে, একদিনে কিছু পাল্টাবে না। স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে শুরু করে, ব্যায়াম শুরু করে। অনেক সমস্যা হয়েছিল কিন্তু সে থামেনি। আপনজনেরাও পাশে ছিলেন সারাক্ষণ। এরপর একদিন সকালে আয়নার দিকে তাকিয়ে তার আর পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে করেনি। ... যা করা সম্ভব নয়, তা ভেবে লাভ কী। বরং যা আমরা করতে পারি, তাই চেষ্টা করে দেখি। লিখেছে আভিকা।