ঢাকা: সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্য়া বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সেখানে আরও কয়েক জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে খবর। রাজধানী ঢাকার শহরতলির উত্তরায় দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মাদারিহাটে একজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চার জনের দেহ রয়েছে, যাঁদের মধ্যে দু'জন পড়ুয়া বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ এবং ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে প্রায় কয়েকশো মানুষ আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। (Bangladesh Anti Quota Protests) বুধবার ছ'জনের মৃত্যু হয়, তাঁদের মধ্যে তিন পড়ুয়া ছিলেন। (Bangladesh Anti Quota Protests) আন্দোলনকারীরা গোটা দেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজে এক ছাত্রকে আনা হয়। ওই ছাত্র নর্দার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া বলে জানা গিয়েছে। মৃত অবস্থাতেই তাঁকে হাসপাতালে আনা হয় বলে জানিয়েছেন উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ। পরিবারের লোকজন ছেলেটির দেহ বাড়ি নিয়ে যান। আজ শতাধিক ছাত্র আহত অবস্থায় হাসপাতালে পৌঁছন বলে জানা গিয়েছে। (Bangladesh Situation) হাসপাতালে আহত ছাত্রদের জায়গা কুলোচ্ছে না বলে খবর।
উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে প্রায় ৪০০ পড়়ুয়া আহত অবস্থায় এসে উপস্থিত হন বলে জানা গিয়েছ, তাঁদের মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন। ওই ছাত্রের পরিচয় জানা যায়নি। অন্য দিকে, মাদারিপুরে পুলিশের তাড়া খেয়ে বেশ কয়েক জন লেকে ঝাঁপ দেন, তাঁদের মধ্যে এক জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও দুই পড়ুয়ার খোঁজ মেলেনি বলে জানা গিয়েছে।
নিহতদের মধ্যে এক পড়ুয়া আবাসিক মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, নিহত ছাত্রের নাম ফারহান ফইয়াজ রাতুল। তাঁর শরীরে রবার বুলেটের ক্ষত পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। আজও পুলিশ এবং আওয়ামি লিগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাধে। দফা দফায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।
এই পরিস্থিতিতে মুখ খোলেন দেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি জানান, সংরক্ষণ নীতিতে সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার। আদালতের শুনানি যাতে এগিয়ে আনা যায়, তার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। আন্দোলনকারীরা চাইলেই সরকার আলোচনায় বসবে বলে জানান। এ ব্য়াপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে এবং শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে দায়িত্ব দিয়েছেন।