নয়াদিল্লি: বাংলাদেশের ঢাকার একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। পুড়ে ছাই শতাধিক দোকান। বৃহস্পতিবার ঢাকার মহম্মদপুর কৃষি মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। প্রায় ৬ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
কীভাবে ছড়াল আগুন? সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, 'শট সার্কিট থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এ দিন। ফায়ার সার্ভিস আধিকারিক শাহজাহান শিকদার জানিয়েছেন, 'ঘটনায় কোনও প্রাণহানি হয়নি। তবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে গিয়েছে বহু দোকান। নষ্ট হয়েছে প্রচুর জিনিস। ঘটনায় কয়েকশো কোটির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২ হাজারের বেশি মানুষ জীবিকা নির্ভর করে এই দোকানগুলির ওপর। এই দুর্ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া দোকানিদের মধ্যে। সূত্রের খবর, আগুনে পুড়ে গিয়েছে ১৮টি সোনার দোকানসহ প্রায় ৫০০ দোকান। এক দোকানি বলছেন, 'এই দোকানের আয় দিয়েই আমার পুরো সংসার চলে, জানি না এবার কী হবে, সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে'।
জানা গিয়েছে গতকাল মধ্যরাতে ৩.৪৩ নাগাদ আগুন লাগে। ঘিঞ্জি জায়গা হওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে সেটি। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরে একে একে আরও ১৭টি ইউনিট পৌঁছে কাজ শুরু করে। প্রায় ৬ ঘণ্টার চেষ্টা নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড , পুলিশ ও র্যাব সদস্যরাও।
ভোর রাত হওয়ার কারণে মার্কেট বন্ধ ছিল। ফলে প্রাণহানির ঘটনা থেকে রক্ষা মিলেছে। এর আগেও একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এলাকায়। ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশের রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রায়ই ঘটছে বলে খবর। অভিযোগ,যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার কারণেই বারবার এই বিপত্তি। ঢাকায় খারাপ গ্যাস সিলিন্ডার, এয়ার কন্ডিশনার এবং খারাপ বৈদ্যুতিক তারের কারণে আগুন ও বিস্ফোরণের খবর মিলেছে আগেও।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের দমকল বিভাগের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, 'মহম্মদপুর কৃষি বাজারে অগ্নি সুরক্ষার কোনও ব্যবস্থাই ছিল না। ছিল না পর্যাপ্ত জলেরও ব্যবস্থাও। তার উপর, ফুটপাত ও রাস্তার উপর দোকান থাকায় আগুন নেভানোর কাজে আরও সমস্যায় পড়তে হয় দমকল বিভাগের কর্তাদের'।