ঢাকা: শেখ হাসিনার জমানা শেষ হতেই একের পর এক পরিবর্তন বাংলাদেশে। সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা যখন প্রশ্নের মুখে, সেই সময়ই বিস্ফোরণ মামলায় বেকসুর খালাস খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান। ২০০৪ সালের গ্রেনেট বিস্ফোরণকাণ্ডে BNP-র কার্যকরী সভাপতি-সহ ২১ জনকে মুক্তি দিল বাংলাদেশের হাইকোর্ট। এবার বিদেশ থেকে খালেদাপুত্র বাংলাদেশে ফিরতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। (Bangladesh News)


দু'দশক আগে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামি লিগের সমাবেশে গ্রেনেড হয়, যাতে হামলায় মৃত্যু হয় ২৪ জনের। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন হাসিনা। সেই মামলায় আগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তারেকৃসহ ৪৯ জন। সেই থেকে দেশছাড়া ছিলেন তিনি। কিন্তু এবার তাঁকে মুক্তি দিল বাংলাদেশের হাইকোর্ট। আর তারেক বেকসুর খালাস পেতেই উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে BNP সমর্থকদের মধ্যে। সম্প্রতি তারেকের সঙ্গে বিদেশে দেখাও করে আসেন BNP মহাসচিব। (Tarique Rahman)


তারেক-সহ ওই মামলায় নাম জড়ায় বাংলাদেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরেরও। সেই মামলায় ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছিল। তারেক-সহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। জেল হয় পুলিশ ও সেনার ১১ কর্মকর্তারও।  রবিবার তাঁদের আবেদনের শুনানি চলছিল হাইকোর্টের বিচারপতি একেেম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চে। পাশাপাশি, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আবেদনও এদিন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।


যাঁরা আবেদন করেছিলেন এবং যাঁরা করেননি, সকলেই খালাস পেয়েছেন। আদালত জানিয়েছে, ২০১১ সালে যে অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে মামলার বিচার শুরু হয়েছিল, সেই অভিযোগপত্রই বেআইনি ছিল। ২০১৮ সালে ওই মামলায় রায় দিয়েছিল ফাস্টট্র্যাক ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু এবার সেই শাস্তির বিধান খারিজ হয়ে গেল। মুক্তি পেলেন সকলেই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এবার তারেকের প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।


গ্রেনেড হামলায় সকলকে মুক্তি দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রায় এবং নির্দেশনা প্রথমে দেবেন তাঁরা। তার বিরুদ্ধে আবেদন জানানো হবে কি না, সব দেখেই ঠিক করা হবে। তবে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে একের পর এক পরিবর্তন ঘটছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় মুক্তি পেয়ে গিয়েছেন খালেদাও। ২০১৮ সালে ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। কিন্তু সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনের জেরে হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়তেই রাষ্ট্রপতির নির্দেশে মুক্তি পান খালেদা।