পেট্রাপোল : নির্ভরশীল ভারতের উপর, অথচ ভারতের বিরুদ্ধেই আস্ফালন বাংলাদেশের ! ফের ভারত থেকে ১ হাজার ৯০০ টন আলু আমদানি করল বাংলাদেশ। পেট্রাপোল সীমান্ত হয়ে যশোরে গেল আলুবোঝাই ট্রেন। গত ১২ ডিসেম্বরও বাংলাদেশে ৪৬৮ টন আলু পাঠায় ভারত।


ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের আগুন জ্বালিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। এদিকে, তাদের নিজের দেশের বাজারেই জিনিসপত্রের দামে আগুন। কেনাকাটা করতে গিয়ে বাংলাদেশের নাগরিকদের কালঘাম ছুটে যাচ্ছে। দিনকয়েক আগে জানা যায়, সেখানে এক কেজি আলুর দাম ৯০ থেকে ১১০ টাকা ! এক কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। একেকটা ডিমের দাম ১২ টাকারও বেশি ! এটা ঢাকার বাজার দর। যে বাংলাদেশ দিনরাত যুদ্ধের জিগির তুলে, ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে, সেখানে জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে নাগরিকদের কালঘাম ছুটছে। সেখানে জিনিসপত্র যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তা শুনলে এপাড়ের সাধারণ মানুষের পিলে চমকে যাবে ! বিশেষজ্ঞরা অবশ্য় বলছেন, এই যুদ্ধ যুদ্ধ পরিবেশ তৈরি করে রাখা, আসলে জ্বলন্ত সমস্য়া থেকে নজর ঘুরিয়ে রাখার একটা কৌশল। 


কলকাতার বাজারে যে আলুর দাম কেজি প্রতি ৩৫-৪০ টাকা, ঢাকার বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়। মানে দ্বিগুণেরও বেশি। ঢাকায় কেজি প্রতি পিঁয়াজের দর ১১০-১২০ টাকা। আর কলকাতায় যখন এক একটি ডিম সাড়ে ৭ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, তখন ঢাকার বাজারে চারটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। মানে এক একটি ১২ টাকারও বেশি।


এদিকে দিনকয়েক আগে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম 'প্রথম আলো' সূত্রে জানা যায়, আলু ও পেঁয়াজ আমদানিতে ভারতের উপর নির্ভর না করে, বিকল্প উপায় খুঁজছে ইউনূস সরকার। এ নিয়ে দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে রিপোর্ট দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। সেই নিয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে নিয়ে বৈঠকও করেছে দেশের সরকার। (Muhammad Yunus)


সেই নিয়ে সংবাদমাধ্যমেও বিবৃতি দেন দেশের বাণিজ্য সচিব মহঃ সেলিমউদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং আমদানি অব্যাহত রাখতে বিকল্প উৎসের সন্ধান দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


এই মুহূর্তে শুধুমাত্র ভারত থেকেই আলু আমদানি করে বাংলাদেশ। পেঁয়াজ আমদানি করে ভারত এবং মায়ানমার থেকে। পরিমাণে কম হলেও, এখন পাকিস্তান, চিন, তুরস্ক থেকেও পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে তারা। ভারতের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে জার্মানি, মিশর, চিন এবং স্পেন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার রাস্তা খোঁজা হচ্ছে। পাশাপাশি, আমদানিকৃত পেঁয়াজের পরিমাণ বাড়াতে কথা চলছে পাকিস্তান এবং চিনের সঙ্গেও। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।