পূর্ণেন্দু সিংহ, তালডাংরা: রাজ্য জুড়ে বাড়বাড়ন্ত ডেঙ্গির। তার মধ্যেই এবার জন্ডিসের প্রকোপ। বাঁকুড়ার তালডাংরার সাতমৌলি গ্রামে গত আড়াই মাসে জন্ডিসে আক্রান্ত অন্তত ২৫০ জন। নলকূপের জল থেকে জন্ডিসের জীবাণু ছড়ানোর প্রমাণ মেলায় সেখানে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। শোধন করা হচ্ছে নলকূপের জল। গ্রামবাসীদের জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। (Jaundice Situation)
আড়াই মাসে ২৫০ জনের শরীরে মিলেছে জন্ডিসের জীবাণু
ডেঙ্গির প্রকোপের মধ্যেই ঘরে ঘরে জন্ডিস। জ্বর-বমি-পেটে ব্য়থার উপসর্গ নিয়ে শয্যাশায়ী অনেকে। রক্ত পরীক্ষা করলেই ধরা পড়ছে জন্ডিস। ডেঙ্গি-ম্য়ালেরিয়ার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের সাতমৌলি গ্রামে লাফিয়ে বাড়ছে জন্ডিস আক্রান্তের সংখ্যা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত আড়াই মাসে ২৫০ জনের শরীরে মিলেছে জন্ডিসের জীবাণু। (Bankura News)
অধিকাংশ জন্ডিস রোগী সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। বাড়িতে চিকিৎসা চলছে ২৯ জন রোগীর। হাসপাতালে ভর্তি বেশ কয়েক জন। এক রোগীর আত্মীয় সংবাদমাধ্যমে বলেন, "২ জন আক্রান্ত আছেন। ১ জনকে চিকিৎসার জন্য় হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জ্বর হচ্ছিল। বিলিরুবিন বেড়ে যাচ্ছিল। জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছে। ২ বার বাঁকুড়া মেডিক্য়ালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে বাইরে পাঠানো হয়েছে।"
আরও পড়ুন: Madan Mitra : আইসিসিইউ-র বেড থেকে রক্ত বিক্রি ! সাগর দত্ত হাসপাতালে দালালরাজের অভিযোগ মদন মিত্রর
নমুনা পরীক্ষায় নলকূপের জলে জন্ডিসের জীবাণু মিলেছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। তালডাংরার বিএমওএইচ অরিজিৎ মণ্ডল বলেন, "ওখানে জল থেকে হচ্ছে। জলে ব্য়কটেরিয়া পাওয়া গিয়েছে। আমরা ব্লিচিং দিয়েছি। এখন অনেক কমে গিয়েছে ব্লিচিং দেওয়ার পর। মেডিসিন চলছে ২৯ জনের। চার জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সঙ্কটজনক কেউ নেই।"
জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে
এর পরই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে প্রশাসন। নলকূপের জল শোধন করার পাশাপাশি জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সাতমৌলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অন্তু মণ্ডল বলেন, "আমাদের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে গত ২০ সেপ্টেম্বর একটা সচেতনতামূলক প্রচার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে যে ব্লিচিং পেয়েছিলাম প্রত্য়েক টিউবওয়েলে দেওয়া হয়েছে। জলের থেকে ছড়িয়েছে। আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। সংক্রমণ যাতে আর বাড়তে না পারে, তার জন্য় ব্য়বস্থা নেওয়া হয়েছে।"
প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পদক্ষেপ এবং সাবধনাতার পরেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না জন্ডিস। আতঙ্কে সাতমৌলি গ্রামের বাসিন্দারা।