গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: বাদাম (penut) বাদাম কাঁচা বাদাম গানের স্রষ্টা ভুবন বাদ্যকর নিজের গানের কপিরাইটের প্রাপ্য অর্থের দাবি নিয়ে দ্বারস্থ দুবরাজপুর (dubrajpur) থানায়। গতকাল তিনি দুবরাজপুর থানায় এসে পৌঁছান। তাঁর বক্তব্য, ''আমার গান নিয়ে বিভিন্ন জন অন্যায় ভাবে ব্যবসা করছে। কিন্তু আমি আমার প্রাপ্য অর্থ থেকে বঞ্চিত। আমি বেশ কয়েকদিন ধরেই থানায় আসার চেষ্টা করছি কিন্তু ভয়ে আসতে পারছিলাম না যদি আমাকে কেউ কিডন্যাপ করে নেয়। আমি সেই কারণে মাথায় হেলমেট পরে লুকিয়ে আজ আমি থানায় দ্বারস্থ হয়েছি।''


তাঁর বিজ্ঞাপনী সুর সবার থেকে আলাদা করেছে তাঁকে। তিনি দুবরাজপুরের (Durbrajpur) কাঁচাবাদাম (Peanut) বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকর। সম্প্রতি ব্যবসায়ীর বাড়িতে যান দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA)। এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


ভাজা বাদাম নয়, রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে তিনি বিক্রি করেন কাঁচা বাদাম। এমনটা তো অনেকেই করেন। কিন্তু তাঁর বিজ্ঞাপনী সুর সবার থেকে আলাদা করে দিয়েছে তাঁকে। সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) সাড়া ফেলেছে তাঁর নিজস্ব জিঙ্গল (Jingle)। 


গলায় সুরটা ছিলই। কাঁচা বাদাম বিক্রি করতে গিয়ে যে কথাগুলো রোজ বলেন, সেই কথার শরীরে সুর বসিদে দিতেই বাজিমাত। ভাইরাল, দুবরাজপুরের ভুবন বাদ্যকর। শুধু টাকা নয়, ইমিটেশন গয়না, ভাঙা মোবাইল এমনকী, হাঁসের পালক, মাথার চুল - সব কিছু দিয়েই কেনা যাবে কাঁচা বাদাম।  বীরভূমের লক্ষ্মীনারায়ণপুরের কেড়ালজুড়ি গ্রামের সাধারণ ব্যবসায়ী ভুবনের গান ছড়িয়ে পড়েছে ভুবনজুড়ে। হচ্ছে লক্ষ্মীলাভও। দুবরাজপুর বাদাম বিক্রেতা ভুবন বাদ্যকর বলেন, “বাদাম বিক্রি করেই সংসার, গান বেঁধেই এখন ভালো বিক্রি হচ্ছে, মানুষ আসছে, ভালো লাগছে।’’


মাটির দেওয়াল, খড়ের ছাউনি। কিন্তু ভুবন এখন ইন্টারনেট সেনসেশন। বাড়িতে বহু মানুষের যাতায়াত। এসেছেন বিজেপি বিধায়কও। বিজেপি বিধায়ক অরূপ সাহা বলেন, “সোশাল সাইটে গান ভাইরাল হয়েছিল। বিষয়টা জানার পর এলাম ভালোই লাগছে। সরকারি সুযোগ সুবিধার কথা ভেবে দেখছি।’’ তবে এনিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “ভুবন যে একজন শিল্পী সেটা বিধায়ক জানতেন না, সরকারি সুযোগ সুবিধার ভেবে দেখব।’’ তবে এসব নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না ভুবন। তাঁর লক্ষ্য কাঁচা বাদাম বিক্রি।