নয়াদিল্লি: সীমানা পেরিয়ে অর্ধেক আকাশের বাউন্ডারি আরও একটু বাড়ল। অসংখ্য মুখ, শত সহস্রের দাঁত চাপা লড়াই, ইতিহাসের বাঁক বদলের সাক্ষী এই পরিসংখ্যান।


প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রীর দৃপ্ত নেতৃত্বে নতুন দেশের জন্ম। কার্গিলে সেনা কপ্টারে মহিলা পাইলটের অনমনীয় সাহস। খালি পায়ের মহিলার একার হাতে বন সৃজন। হাথরসে জ্বলন্ত চিতার সামনে দাঁড়িয়ে সশস্ত্র পুলিশের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া- ‘উয়ো কেয়া জ্বল রহা হ্যায়?’ এরকম আরও কত সাহসে ভর করেই আজ মাথা তুলেছে নারী-ভারত। যে ভারতে ২০২১ এর নভেম্বরে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের পঞ্চম রিপোর্ট বলছে, ভারতে এখন পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। প্রতি হাজার পুরুষের অনুপাতে এখন মহিলার সংখ্যা ১ হাজার ২০। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর সরকারি নথিতে এই প্রথম দেশে নারীর সংখ্যা পুরুষদের ছাড়িয়ে গেল।


সারা দেশের মতোই বাংলার ঘরে ঘরেও আজ লক্ষ্মীর আরাধনা। রাজ্যের পরিসংখ্যানও তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বাংলায় যেখানে ২০১১ সালে জন্মের সময় প্রতি হাজার পুত্রসন্তান পিছু কন্যা সন্তানের সংখ্যা ছিল ৯৫৬, এখন সেই সেক্স রেশিও বেড়ে ৯৭৩ হয়েছে। গ্রামবাংলায় তা হয়েছে ৯৯৩। যা দেশের সেক্স রেশিওর থেকেও বেশি। সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫-‘১৬ সালে দেশে সেক্স রেশিও ছিল ৯১৯। সেখানে ২০১৯-‘২০ সালে তা হয়েছে ৯২৯।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহিলাদের আর্থিক সামাজিক উন্নয়নে একাধিক প্রকল্পের ফল মিলতে শুরু করছে। পরিসংখ্যানের কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক বলছে, দেশে জন্মহার কমেছে। মহিলারা এখন কম সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন, অর্থাত্‍, অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ের সংখ্যা কিছুটা হলেও কমেছে। পরিবার পরিকল্পনার অংশ হতে পারছেন মেয়েরা। নিজেদের শরীর স্বাস্থ্যের ভাল বুঝতে শিখছেন তাঁরা।


পরিসংখ্যান হয়তো নিছকই অঙ্ক মাত্র, তবু সমাজের সমস্ত চোখরাঙানির সামনে কোটি কোটি মানবীর পথ হাঁটা আলোর ইশারা বইকী!